জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আবেদনের মেয়াদ বাড়ছে

বাংলাদেশি সিনেমার সবচেয়ে বড় সম্মাননা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এর আবেদনপত্র আহ্বান করেছিলো তথ্য মন্ত্রণালয়। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান কমিটির জুরি বোর্ডের সদস্য সচিব নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ৫ এপ্রিলের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। নতুন খবর হলো ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদনের মেয়াদ বাড়াবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে অনেকে চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারায় মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান সেন্সর বোর্ডের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন। অফিস খোলার পর জুরি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানালেন তিনি।

২০১৯ সালে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সেগুলোই কেবল জমা দেয়া যাবে। পুরস্কার দেয়া হবে মোট ২৮টি বিভাগে। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তার সঙ্গে উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে হবে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। আজীবন সম্মাননা পাবেন কেবল জীবিত তারকারা। যৌথ প্রযোজনার ছবিও পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সে ছবিতে অভিনয় করা বা গান গাওয়া বিদেশি শিল্পীরা পুরস্কার পাবেন না। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অবশ্যই ছবিটিকে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেতে হবে এবং ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।

সিনেমার কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

অন্যদিকে বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন