তারকাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশা

বিশ্বকে গ্রাস করতে চলেছে সর্বনাশা করোনাভাইরাস। এর আওতামুক্ত নয় বাংলাদেশও। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন একমাত্র ও প্রধান আতঙ্কের নাম করোনা। এরই মধ্যে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১২০ জন। সময় যত যাচ্ছে ততই যেন ভয়ানক আকার ধারণ করছে করোনার থাবা।

করোনার ভয়ে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থবির হয়ে আছে সবকিছু। অচল হয়ে পড়েছে শোবিজাঙ্গনও। শুটিং, ডাবিং, এডিটিং, গান- সবকিছু থেকে দূরে সরে রয়েছেন তারকারা। সবাই ঘরবন্দি হয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছেন। মুক্ত হতে চাচ্ছেন করোনা থেকেও।

তারকাদেরও প্রত্যাশা খুব শিগগিরই সবার জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। ঘরে বসেই প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী মানুষকে নানাভাবে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করছেন ফেসবুকে লাইভে এসে।

মৌসুমী বলেন, নতুন পৃথিবীতে হয়তো আমরা কেউ থাকব, কেউ থাকব না, করোনাভাইরাসের সাথে যে যুদ্ধ আমাদের তাতে আমাদের জিততে হবে। কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। সবার জন্য শুভ কামনা।

ঈশিতা বলেন, সত্যি বলতে কী আমাদেরতো ঘরে থাকবার কথা। সরকার বাসায় বাসায় গিয়ে আমাদের ঘরবন্দি করে রাখতে পারবে না। আমরা যারা প্রাপ্তবয়স্ক, তাই আমাদের ভালো-মন্দটা আমাদেরই বুঝতে হবে। আমার দুই সন্তানকে নিয়ে আমি ঘরের মধ্যেই নিরাপদে অবস্থান করছি। দুই বাচ্চার স্কুলের কাজ নিয়েই সময় কেটে যাচ্ছে আমার।

পাশাপাশি রান্না করেও সময় কাটছে আমার। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বই পড়ছি। আমি বিশ্বাস করি সুন্দর দিন, ভালো দিন আবার ফিরে আসবে ইনশাআলস্নাহ। যে যার ধর্মমতো আমরা যেন আলস্নাহর কাছে সাহায্য চাই যেন এমন সময়টা কেটে গিয়ে ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবন।

গেল ১৭ মার্চ থেকে ঘরের মধ্যেই নিরাপদ সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী বাঁধন। এর মধ্যে শুধু একদিন তিনি বাইরে গিয়েছিলেন বাজার করার জন্য।

লাক্স তারকা বাঁধন বলেন, বাসায় আমার বাচ্চা এবং বাবা-মাকে বেশি সময় দিচ্ছি। নিজের প্রতিও খেয়াল রাখছি। আমাদের মিডিয়ার আগামী দিন কেমন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এটা বলতে পারি আমরা একটা নতুন পৃথিবীতে প্রবেশ করব। সবার উদ্দেশ্যে আমি একটি কথা বলতে চাই, আর তা হলো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব বাসায় থেকে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করা।

আর সবারই যার যার অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা যাতে যারা অভাবে আছে তাদের যেন কষ্ট লাঘব হয়। আমাদের উচিত পশু-পাখিকেও খাবার পানি দিয়ে সহযোগিতা করা।

আরেক লাক্স কন্যা বিদ্যা সিনহা মিম তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পাঁচশত পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি আমার নিজের অবস্থান থেকে কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিছু সহযোগিতার কথা মানুষ জেনে গেছেন। আবার নীরবে-নিভৃতেও কিছু মানুষকে সহযোগিতা করছি যে কথা কেউ জানেন না।

ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ আমার, পিস্নজ এই দুর্যোগকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াবেন না। এমন সংকটময় সময় মুহূর্তে অবৈধভাবে টাকা কামানো থেকে পিস্নজ বিরত থাকুন।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন