স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কারাগারের বন্দিরা

দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে জেলা কারাগারের তিন শতাধিক বন্দি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে এই জরাজীর্ণ কারাগারে।

ব্রিটিশ শাসনামল ১৮৯২ সালে টাঙন নদীর তীরঘেঁষে প্রায় ৩ একর জমির উপর স্থাপিত হয়  উপ-কারাগার। তখন কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ছিল ১৬৮ জন। এর মধ্যে তিনজন নারী বন্দি থাকার ব্যবস্থা ছিল।

কারাগারের সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ছয়টি ওয়ার্ডের ভেতর মাত্র ছয়টি টয়লেট, আর ওয়ার্ডের বাইরে আছে ১২টি টয়লেট; যা বিপুল সংখ্যক বন্দির জন্য যথেষ্ট নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে জনবল সংকট। প্রয়োজন অনুযায়ী নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক  পরিচ্ছন্নকর্মী, ধোপা, রাঁধুনী। অথচ সেখানে বন্দির সংখ্যা তিন শতাধিক। গাদাগাদি করে তাদের থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

জেল সুপার মো. জাবেদ মেহেদী বলেন, তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন বন্দিদের কারাগারে ঢোকানোর আগে গেটে সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত-মুখ ধোয়ানো হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিট্রাইজার দেওয়া হচ্ছে । নতুন বন্দিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।

কারাগারে এক কক্ষবিশিষ্ট হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন রুম, অসুস্থ বন্দি এবং ভিআইপি বন্দিদের বেডে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন আসা নতুন বন্দিদের সেখানে রাখা হচ্ছে। এরপর ১৪ দিন পূরণ হলে সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত এই জেলায় সাতজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারাগারের তিন শতাধিক বন্দি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, কোয়ারেন্টিন অর্থই আলাদা করে রাখা। এক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে অন্য কেউ তাদের সংস্পর্শে আসতে পারবে না। এটা উভয়ের জন্য বিপজ্জনক।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন