নারীবাদী তকমায় আজ নিজের প্রতি একরাশ ঘৃণা কলঙ্কের বোঝা

আমারে কেউ একটু বলবেন গা থেকে এইসব নারীবাদী তকমা, এ্যক্টিভিজমের কাঁটাপোষাক ক্যামনে দূর করবো? কসম খোদার, দূরের ঘাস সবুজ মনে করে যাদের দলে ভিড়সিলাম দিনে দিনে প্রায় সকলেই দুরগন্ধম ফ্যাকাশে পঁচা ঘাস হয়েই দৃশ্যমান হইসে। মৃগনাভীর সুভাস মনে করে যে কুহেলিকা জড়াইসিলাম তা ক্রমশই অসহনীয় দুর্গন্ধ ছাড়াইসে। এখন আমি সব ছেড়ে শুধু “আমি” হইতে চাই একবার। আমি শুধু আমার হইতে চাই।

২০১৬ সালের পর থেকে, সেই ওমেন চ্যাপ্টারে লেখা শুরুর পর থেকে যে পরিমাণ টক্সিন জমাইসি শরীরে তার বিষে আমার পরিবারও আক্রান্ত হইসে। দিনের মধ্যে অন্তত পাঁচটা ফোন কল এটেন্ড করতে হইতো এর বিরুদ্ধে ওর কুটনামি শোনার জন্য। কেউ না কেউ কারো না কারো সাথে লাইগাই আছে!! বোন পর্যন্ত বোনরে ছাড়েনা এইখানে!! এমনই অসুস্থ এরা!! বলাই বাহুল্য, সেইসব লাগালাগিতে আমারেও পার্টিসিপেট করতে হইসে, আমি করসি। আই ডিসার্ভ পানিশমেন্ট। এন্ড আয়্যাম হেভিং!

সেইসময় আমার বাচ্চা মেয়েটা, বারো তেরো বছর বয়স তার মাত্র তখন, আমাকে পরিষ্কার করে বলতে শুরু করলো, “মা, তুমি এই সার্কেল ছাড়ো প্লিজ, তোমার কোয়ালিটি ডেটেরিওরেট করতেসে। তুমি তো এইরকম ছিলানা মা, তুমি তো কোনদিন ব্যাকবাইটিং করতা না, এতো ওয়ার্থলেস ফোন তুমি এটেন্ড করতানা। তুমি নিজের মতো কাজ করতা, পড়তা, লিখতা, আমাদের মেন্টরিং করতা, সেই তুমি কতো সুন্দর ছিলা! তোমার কেন সার্কেল করে বলতে হবে তুমি ফেমিনিস্ট? তুমি তোমার লাইফে যা করছো, যা প্র্যাকটিস করো তা কি যথেষ্ট ফেমিনিজম নয়? তোমার মতো ফেমিনিজম কি তোমার ওই সার্কেলে কেউ করে? ওখান থেকে কী শিখতে চাও তুমি?”

আমি কোনও উত্তর তাকে কোনদিনও দিতে পারিনাই। আজকাল সে আর কিছু বলেনা। হাল ছেড়ে দিসে। কিন্তু তার চোখে গভীর বেদনা আমি দেখতে পাই। মায়ের প্রতি প্রাইড হারানোর বেদনা। চোখের সামনে মাকে এলেবেলে হইতে দেখার বেদনা।

এন্ড আই এডমিট, ইট ওয়াস মাই রং চয়েস ফর কম্যুনিটি বিল্ডিং। আমি এদের সাথে যাইনা আসলে। জোর করে যাওয়াইতে গিয়ে নিজের যোগ্যতাকে লেইম করসি। নিজের প্রতি অবিচার করসি। আমার যাবতীয় অর্জন তুলে দিসি খোলা বাজারে। নিজের প্রতি একরাশ ঘৃণা আমার।

কিন্তু এইটা থেকে বের হওয়ার উপায় থাকলে কেউ জানান দয়া করে। নাকি এইটা ওয়ান ওয়ে রোড? মৃত্যুর আগে ঘুচবেনা এই কলঙ্ক?

আরেক স্ট্যাটাসে সাদিয়া নাসরিন লিখেছেন, আমাদের মিষ্টভাষী এ্যানি আপা যিনি নাকি মানবতার খাতিরে দয়া করে মেয়েটাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, তিনি গৃহকর্মি নির্যাতনের ঘটনায় নিজেকে ডিফেন্ড করে একটা পোস্ট দিসে। আমরা যা দেখসি, শুনসি তার ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে উল্টানো পোস্ট। পোস্ট আবার রেস্ট্রিক্টেড করা। একটা মোটামুটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া প্রমান সহ ভিডিওর বিরুদ্ধে তার একটি পোস্ট তাও রেস্ট্রিকটেড!! আজব না!!

তবে আমার আজব লেগেছে সে পুরো পোস্টটার মোড় ঘুরিয়েছে তার অসুস্থতা এবং নিজের মেয়ের শারিরীক প্রতিবন্ধকতার বিষয় নিয়ে এসে, যেটা সে সবসময় করে। একটা মানুষ কতোটা খারাপ হলে নিজের অপরাধকে জাস্টিফাই করার জন্য নিজের মেয়ের অসুস্থতাকে ক্যাশ করে!!

যেহেতু পোস্টটি রেস্ট্রিকটেড করা তাই আপনাদের জন্য স্ক্রীনশট দিলাম। বিশ্বাস করবেন কি করবেননা সেটা আপনাদের বিবেচনা।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন