যুক্তরাজ্যে করোনায় আরও ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

করোনা মহামারি বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৬৮ জন। দেশটির বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, করোনা মহামারিতে ৯৪ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে ৪ বাংলাদেশি। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত চার বাংলাদেশি হলেন- আব্দুন নূর, হাবিবুর রহমান, সুরুজ আলী ও শফিকুল ইসলাম।

পূর্ব লন্ডনের ইস্টহামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুন নূর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন । তিনি গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে নিউহাম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি জগন্নাথপুর বৃটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার, জগন্নাথপুর পৌরসভার হাবিবুর গ্রামে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বো এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গরবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের সময় লন্ডন হমাটন হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। তিনি গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার, সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন নিউহামের বাসিন্দা সুরুজ আলী। তিনি ১৫ এপ্রিল বুধবার সকালে হমাটন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ২ মেয়ে রেখে গেছেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সাবাজপুর গ্রামে।

ইংল্যান্ডের কেন্টে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েমৃত্যুবরণ করেছেন শফিকুল ইসলাম নামের এক ইতালিয়ান বাংলাদেশি। তিনি গত ১২ এপ্রিল রবিবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইউকের সাধারণ সম্পাদক জলিল খান জানিয়েছেন, তিনি গত ৪ বছর যাবত কেন্টের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। তার দেশের বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলায়। যুক্তরাজ্যে তার কোনও নিকট আত্মীয় স্বজন নেই বলে জানিয়েছেন জলিল খান। তবে দেশে মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মরহুমের জানাজা ও দাফন রেস্টুরেন্ট মালিক করছেন বলে জানাগেছে। তবে ওই রেস্টুরেন্টের মালিক তার নাম প্রকাশ করেননি।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন