প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। অভিনয়ের পাশাপাশি একটি ভেজাল বিরোধী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন অনেক দিন ধরে। তাকে নানা রকম সামাজিক কার্যক্রমেও সরব দেখা যায়

করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলমান সরকারি বিধি নিষেধ মেনে গত ২২ মার্চ থেকে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন পরিবার নিয়ে।এদিকে কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন সেলেব্রিটিদের সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। আবার অনেক তারকাই নিরব।

সে বিষয়ে আমিন খানের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে জানা গেল, এই নায়কও করোনা মোকাবিলায় অসহায় মানুষদের পাশে আছেন।তবে আমিন খানের অংশগ্রহণ খানিকটা আনুষ্ঠানিকতার।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বেশ বড় অংকের অনুদান জমা দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে আমিন খান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে সাহায্য করলে সেটা ফলাউ করে জনসম্মুখে আনাটা ঠিক না। আসলে এখানে নেগেটিভ পজেটিভ দুটোই আছে। পজেটিভ দিকটা হচ্ছে একজন প্রকাশ্যে কিছু করলে অন্য অনেকেই উৎসাহিত হয়। যেমন নিজ উদ্যোগে অনেক সেলেব্রিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া শুরু করেছেন। তাদের দেখে আরো অনেকেই দিচ্ছেন। এটা পজেটিভ। তিনি নিজের গোপনীয়তা সম্পর্কে বলেন, তবে আমি দান বা সাহায্য করাটা গোপনেই রাখতে পছন্দ করি। আজ আলাপ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়ায় বলছি যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আমি কাউকে বলাবলি করছি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো ছবিও দিচ্ছি না।

আমরা কয়েকজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজেরাই একটা ফান্ড কালেকশন করেছি এবং সেটি বড় একটি অংকের টাকা। ইতিমধ্যে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি- যোগ করেন আমিন খান।

তিনি সবাইকে সবধানে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সহায়তার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমার মতে কোনো ব্যক্তি নিজে রাস্তায় নেমে মানুষকে সহায়তা না দিয়ে কোনো একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সাহায্য বিলি করা উচিত। যাতে করে কোনো ঝামেলা না হয়। নিজের হাতে দিতে গেলে জন সমাগম বেশি হবে এবং তাতে করে ভাইরাসটা ছড়ানের একটি সম্ভাবনা থেকেই যায়।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেখেছি অনেকে বিভিন্ন থানার পুলিশ অফিসারদের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেছেন। সেটা অনেক সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে। এভাবেই সবার ত্রাণ বিতরণ করা উচিত।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন