বাসা থেকে অফিসের কাজে মনোযোগ ধরে রাখার ৭ উপায়

Cropped shot of a handsome young man making notes while working at home

করোনা পরিস্থিতিতে বাসায় বসে অফিসের কাজ করাটা নিরাপদ ও আনন্দের মনে হলেও কাজে মনোযোগ ধরে রাখাটা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। কঠিন হলেও তো কিছু করার নেই। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অভ্যাসটা এখন রপ্ত করতেই হবে।

ঘরে বসেও কীভাবে আপনি অফিসের কাজে মনোযোগ বাড়াতে পারেন সে বিষয়ে জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট কিছু টিপস দিয়েছে। সেটি আপনারও কাজে লাগতে পারে-

১. ঘরে বসে অফিসের কাজ করার আগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে শক্তিশালী যোগাযোগব্যবস্থা প্রণয়ন এবং কাজ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা রাখুন। বস্টনের নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক বারবারা লার্সন বলেন, কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরিষ্কার ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি। কাজ শুরু ও শেষের আগে ১০ মিনিট ফোনালাপের মাধ্যমে কাজের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।

২. অফিসের কাজ ঘরে বসে করার যতই অভ্যাস থাকলেও বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া নিঃসঙ্গতা অনুভব করতে পারেন, যা পরোক্ষভাবে কাজের গতি ও মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ‘ভিডিও কল’ কার্যকর উপায়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কাজ ভাগ করে দেয়া। কাজের অগ্রগতি জানা এবং দলের সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্স অত্যন্ত কার্যকর।

৩. ঘরে কাজ করলে কাজের গতি কমবে এটিই স্বাভাবিক। তাই নাস্তা সেরে, গোসল, কাপড় বদলে কাজে বসা উচিত, এতে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হবে।

৪. ঘরের একটি কোনকেই নিজের ডেস্ক বানিয়ে নিতে পারেন, যা শুধুই কাজ করার জন্য। কাজ সারতে প্রয়োজনীয় সব অনুষঙ্গ এখানে হাতের নাগালে রাখতে হবে। মনিটর, তারবিহীন কিবোর্ড-মাউস, পানির বোতল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তা রাখার জায়গা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস এই ডেস্কে থাকা উচিত।

৫. ভালো একটি চেয়ারে বসে কাজ করুন। কারণ টেলিভিশন দেখার সোফায় বসে অফিসের কাজ করলে মনোযোগ আসবে না। এতে শরীরে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

৬. ঘরে বসে কাজ করতে হলে ঘরের স্বাভাবিক পারিপার্শ্বিকতা থেকে নিজেকে কিছুটা হলেও আলাদা করে নিতে হবে। পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিতে হবে, আপনাকে যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডাকাডাকি করা না হয়। আর শিশুদের সামলে রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৭. অফিসে কাজের ফাঁকে সামান্য হাস্যরত, রসিকতা ও আড্ডাও হয়ে থাকে। ফলে নিঃসঙ্গতা মনোযোগ নষ্ট করতেই পারে। এ ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন