মমতাজ নিজস্ব তহবিল থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন

গেল ৩১শে মার্চ থেকে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজেরই একটি জনপ্রিয় গানের সুরে শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ‘মাইনা যায় নিয়মটা মাইনা যায়’ শীর্ষক গান নিয়ে সবার সামনে আসেন। দেশব্যাপী এই গানটি এখন নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বলা যায় প্রায় সবধরনের যান চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে নিম্ম আয়ের মানুষ, কর্মহীন, দু:স্থ ও দিনমজুররা বেশ খারাপ সময়ের মধ্যদিয়েই দিনানিপাত করছেন।

তাদের কথা ভেবেই মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ শ্রেণির মানুষদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।

যখন থেকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তখন থেকেই মমতাজ বেগম তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। মূলকথা অভাবগ্রস্থদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন এ শিল্পী। এরইমধ্যে তার এই কাজের জন্য নিজের সাংসদীয় এলাকায় বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন মমতাজ। নিজস্ব সাংসদীয় এলাকার চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছেও সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন এবং নির্দেশনাও দিচ্ছেন যেন সময় নষ্ট না করেই সবার মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

গত ৩রা এপ্রিল সিঙ্গাইরে নিজে উপস্থিত থেকে তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন। মমতাজ বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আমাদের হাতেই। ঘরে থেকে সুরক্ষিত থাকুন, ভালোবাসার মানুষদের সুরক্ষিত রাখুন। আমি আপনাদের খোঁজ-খবর রাখছি সবসময়ই। করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন, দুস্থ, দিনমজুর ও অভাবগ্রস্থদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।’ যদি কেউ সাহায্য না পেয়ে থাকেন তাহলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন মমতাজ। প্রতিনিধির কাছে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য পৌঁছে দেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

মমতাজ তার গানে গানে সচেতন হওয়ার আহ্বান করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের লোকদের, ডাক্তারদের দোষ ধরি। অথচ এই সময়টাতে তারাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তবে এটাও ঠিক, কাজ করতে গেলে ভুল হয়, ভুল সংশোধনের সুযোগও দেওয়া উচিত। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিনই খোঁজ নিচ্ছি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই প্রতিদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। পুলিশদের জন্য নিজ উদ্যোগে পিপিই কিনেছি। এদিকে ঘরে থাকতে অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। সময় কাটছে না। কিন্তু তারপরও আর কয়েকটা দিন যেন আমরা ঘরে থাকি। আড্ডা দেওয়া, গল্প করা- এসব থেকে এক-দুই সপ্তাহ বিরত থাকি। নিজে ভালো থাকি, অন্যদের ভালো থাকতে সাহায্য করি।

যাদের খাবারের অভাব আছে, আমরা খেয়াল রাখছি। অন্যরা সবাই যেন তার পাশের মানুষের দিকেও খেয়াল রাখে। আমরা কেউ যেন ঘরের বাইরে ডেকে এনে লোক দেখিয়ে সহযোগিতা না করি। যাদের সহযোগিতা করতে চাই, ঘরে গিয়ে নীরবে যেন সেরে আসি।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন