ফারুকী : আসেন সময়টা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবেই লই

ভয়ংকর এক ভাইরাসের নাম করোনা। যে ভাইরাস পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে। মানুষের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে ক্রমাগত। ঘর হতে বের হতে দিচ্ছেনা। কারণ জন সমাগমে গেলেই অন্যের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এ সময়টা অন্য সবার মতো নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানালেন।

ফারুকী সময়টাকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবেই ধরে নিতে বললেন সাবইকে

ফারুকীর নিজের ভাষায় সে আহ্বান হুবহু সবার উদ্দেশ্যে তোলে ধরা হলো

করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই যেনো স্থবির হয়ে আছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন আয়োজন। বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বড় বড় উৎসব, কনসার্ট ও সিনেমার কার্যক্রম। বন্ধ হয়েছে লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশন। ফলে বাসাতেই গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে তারকাদের। বিশ্বের বড় বড় দেশের কর্তাব্যক্তিরা এটাকে তুলনা করছেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবে। এটা তো এক অবিশ্বাস্য এবং অবিস্মরণীয় মহাযুদ্ধই। না হলে কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবছিল, আলো ঝলমলে সব বড় শহর ফাঁকা মরুদ্যান হয়ে যাবে? আর লোকেরা ঘরে বসে দিন গুজরান করবে?

আসেন আমরাও এটাকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবেই লই। নিজের হাতের সঙ্গে যুদ্ধ করি, হাত পরিস্কার রাখার যুদ্ধ। নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করি, ঘুরতে না যাওয়ার, বেশি মানুষ এক জায়গায় না হওয়ার, আড্ডাবাজি না করার যুদ্ধ। বাঁইচা থাকলে এ সবই করতে পারব। আর সরকারের বন্ধুরা, আসেন করি টেস্টিং কিট সংগ্রহ করার যুদ্ধ, প্রতিটি হাসপাতালে করোনা মোকাবিলা ইউনিট বানানোর যুদ্ধ, ডেজিগনেটেড নার্স এবং ডাক্তারের দল বানানোর যুদ্ধ, লোকজনের ঘরের ভেতর রাখার যুদ্ধ। জাপানি গবেষকদের একটা রিপোর্ট দেখলাম। সেখানে তারা করোনা সম্পর্কে আগে যা জানতেন, তার বাইরেও নতুন তথ্য হাজির করছেন। আগে জানতাম, ড্রপলেট তিন ফুট পর্যন্ত যেতে পারে। এখন জানলাম, মাইক্রো ড্রপলেট বলে একটা জিনিস আছে, যেটা একটা ক্লাসরুমের সমান জায়গায় ভেসে বেড়াতে পারে বিশ মিনিট এবং গবেষকরা অনুমান করছেন, মাইক্রো ড্রপলেট ভাইরাস বহন করতে পারে। সুতরাং, সমাধান একটাই, ঘরে থাকুন। আর যদি বাইরে যেতেই হয়, যেমন- ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিক, ব্যাংকার, সরকারি কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ভাইবোনদের বাইরে যেতেই হচ্ছে- মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন।

কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে হংকংয়ের প্যানডেমিক বিশেষজ্ঞ হংকংবাসীর সারাবছর মাস্ক পরার কথা উল্লেখ করেছেন, হংকংয়ের করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে। যা হোক, এই জিনিস আমাদের ভালো রকম সাফার করাতে আসছে। প্রস্তুত হোন। আর ওয়াদা করেন, প্রকৃতি, বন, বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আবাস ধ্বংস হয়- এমন কাজ আমরা যেন আর না করি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন