একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরে আসার চিন্তা মাথায় এসেছিল প্রিয়াঙ্কার। তখন তিনি কিশোরী। পড়াশোনোর জন্য ১২ বছর বয়সে ভারত থেকে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলন তিনি। সেই সময় নানান জটিল পরিস্থিত সম্মুখীন হন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি নানাভাবে বুলিংয়ের শিকার হতেন। ভেতর থেকে সেগুলো তাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। পিপলস ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানালেন নায়িকা।
অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি নিজেকে খোলসের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি তিনি মনে করতেন, তার দিকে যেন কেউ না তাকায়। নিজেকে একসময় অদৃশ্য রাখতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়েছিল। নিজেকে সব সময় প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী মনে করা একটা মানুষ তিনি। তবে সেই সময় তিনি নিজে কোথায় দাঁড়িয়ে রেয়েছেন, কী করছেন, সেসব বিষয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন।
তার লেখা বই ‘আনফিনিসড’এ দীর্ঘ একটা অংশজুড়ে তিনি লিখেছেন, কীভাবে সেসময় তিনি অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। কিশোর বয়সে সমবয়সীদের হাতে রোজ অপমানিত হতেন তিনি। কেউ তাকে বলত, ‘শ্যামবর্ণা, ফিরে যাও নিজের দেশে!’ এবং ‘যেই হাতিতে চড়ে এসেছো, তাতে করেই ফিরে যাও।’ সাহায্যের জন্য স্কুলের পরামর্শদাতার কাছে পৌঁছেও কোনও লাভ হয়নি।
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, সততা বজায় রেখে তিনি শহরটাকে কখনো দোষারোপ করেন না। তিনি মনে করেন, শুধু ওই মেয়েগুলো যা বলত সেগুলো তাকে যন্ত্রণা দিত। ‘Broke up with America’র অংশে- আমেরিকা থেকে ভারতে ফিরে আসার প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, তিনি আশীর্বাদপ্রাপ্ত আমেরিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে। ফিরে আসার পর তিনি অগাধ প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। ভারতে ফিরে আসার পর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই অপ্রস্তুতকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন তিনি।
আজ হলিউডে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করে নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মার্কিন মুলুকের পুত্রবধূ তিনি। নিক জোনাসের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন। আজ এই সবই অতীত, তবে নিজের আত্মজীবনীতে পাতা উলটে ফের ফেলা আসা দিনে ফিরেছেন প্রিয়াঙ্কা। আগামী মাসেই প্রকাশিত হচ্ছে ‘আনফিনিসড’।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস