জিরো পয়েন্টে মিনিটে প্রায় ৩৪ হর্ন, শব্দদূষণ তীব্র পল্টনে

রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০ মিনিটে ৩৩২টি হর্ন বাজে। এসব হর্নের মধ্যে ৭০টি হাইড্রোলিক ও ২৬২টি সাধারণ। তীব্রতার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় পল্টন বাসস্ট্যান্ডে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) যৌথ উদ্যোগে জরিপের ফলাফলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘নীরব এলাকা ঘোষিত সচিবালয়ের চারপাশে তীব্র শব্দদূষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নীরব ঘোষিত সচিবালয় ও তার আশে পাশের ১২টি স্থানের শব্দ দূষণ নির্ণয় করতে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ দিন ক্যাপসের ১০ সদস্যের একটি দল এসব এলাকার ১৮০০ সংখ্যক উপাত্ত সংগ্রহ করেন।

গবেষণা থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে করোনাকালীন যানবাহন চলাচলে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণের কারণে সময়ের ব্যাপ্তিতে শব্দদূষণ কিছুটা কমলেও তীব্রতার দিক থেকে শব্দ দূষণ বেড়েছে। তীব্রতার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ লক্ষ করা গেছে পল্টন বাসস্ট্যান্ডে এবং সময়ের ব্যাপ্তিতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ লক্ষ করা গেছে কদম ফোয়ারায়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক এবং স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। এছাড়াও এতে বক্তব্য রাখেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির।

গবেষণার ফলাফল প্রকাশ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০২০ সালে ১৪-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ দিনে ১২টি স্থানের সবগুলোর মধ্যেই সর্বোচ্চ শব্দের মান পাওয়া গেছে ১২০ ডেসিবেলের ওপরে। এদিক থেকে পল্টন বাসস্ট্যান্ডে (১২৯.২ ডেসিবেল) সবচেয়ে বেশি শব্দের মাত্রা পাওয়া যায়। সংগৃহীত উপাথ্যের গড়ের হিসাবে শব্দের সর্বোচ্চ মান পাওয়া গেছে কদম ফোয়ারায় যা ১১৮.৭ ডেসিবেল এবং সবচেয়ে কম শব্দ রয়েছে সচিবালয়ের পশ্চিম দিকের (মসজিদ) স্থানে (৯৯.৫ ডেসিবেল)। শব্দের সর্বোচ্চ মানের দিক থেকে ২০১৯ এর চেয়ে ২০২০ সালে ৭.৮ শতাংশ দূষণ বেড়েছে।

শব্দদূষণ কমাতে সচিবালয় এলাকায় গাছ রোপণ করা, সচিবালয়ের দেয়ালে সাউন্ড প্রুফ প্লাস্টার বোর্ড বসানো, হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করা, হর্ন বাজানোর শাস্তি বৃদ্ধি ও চালকদের শব্দ-সচেতনতা যাচাই করে লাইসেন্স প্রদানসহ ১৯ দফা দাবি জানানো হয়।

বার্তা প্রেরক
মোঃ হান্নান শেখ
স্ট্যাফ রিপোর্টার

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন