গত জুলাই মাস থেকে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সম্ভাব্য টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে চীন সরকারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। চীনের পরিবহন এবং পরিষেবা খাতের কর্মকর্তা ঝেং ঝংওয়ে বলেন, ‘শুরুতে চিকৎসকদের টিকা দেয়া হচ্ছে।
তিয়ানজিন-ভিত্তিক ক্যানসিনো বায়োলজিক্সের করোনা প্রতিরোধী সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি চীন তাদের সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে। বাহিনীর পাশাপাশি কিছু সরকারি কর্মকর্তাও ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন বলে গত মাসে জানানো হয়। চীন নিজেদের টিকার পেটেন্ট করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্ত অর্থ্যাৎ তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করে রাশিয়া-চীন ডেটা জমা দিলে সেটি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাশিয়ার দাবি, জাতীয়ভাবে অনুমোদন পাওয়া তাদের ‘স্পুটনিক ভি’র পাশাপাশি আরেকটি টিকার প্রাথমিক ট্রায়ালেও সফলতা এসেছে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে সর্বশেষ বক্তব্যে বলা হয়েছে ,‘রাশিয়ার টিকার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে আমরা দেশটির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছি।’ বিশ্বজুড়ে দেড়শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষার কাজ চলছে। বর্তমানে ২৩টি মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।