ভূমি অফিসগুলো উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে আসছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘ডিজিটাল সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় এনে দিতে এবার ১৮ হাজার উপজেলা অফিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪০ হাজার অফিসকে উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে আনতে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।’
শনিবার অনলাইনে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে ই-নথি বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকারের ৮২৩৪টি দপ্তর ই-নথি ব্যবহার করছে, খুব দ্রুততম সময়ে উপজেলা পর্যায়ের ১৮ হাজার অফিসে এবং ইউনিয়নের ভূমি অফিস ও ডিজিটাল সেবা সেন্টারসহ সব জায়গায় এই ই-নথি চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস্তবায়নে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে একটি জনবান্ধব জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে ই-নথির ব্যবহার ইউনিয়ন সেবা সেন্টার পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তরঙ্গের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এবং কভিড ১৯-এর অপ্রত্যাশিত অবস্থা মোকাবিলায় গত পাঁচ মাসে আমাদের মধ্যে ই-নথি ব্যবহারে যে সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে তা থেকে আরও একটি নতুন সংস্করণে যেতে যাই। যেখানে অডিও-ভিজু¨য়াল কল, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, ওসিআর, টেক্সট টু স্পিচ, স্পিচ টু টেক্সট, এআই প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটিয়ে ডি-নথি চালু করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।