পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইলফোন ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বাড়তি কর প্রত্যাহারের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।
শনিবার (২০ জুন) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে আয়োজিত বাজেট ২০২০-২১ ভার্চ্যুয়াল সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
পরিকল্পমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের বিষয়টি মাথায় নিয়েই এবারের বাজেট তৈরি করা হয়েছে। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ পুনর্বিবেচনার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষাসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন তার প্রয়োগ ঘটানো হবে।’
বিভিন্ন আর্থিক খাতে সংস্কার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার প্রতিদিন হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। সরকারের মানসিকতাই হচ্ছে সংস্কারের মাধ্যমে উন্নয়ন। যেখানে সবার সমতা থাকবে। সুষম উন্নয়ন হবে। আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড বাড়বে। রাজস্ব খাতেরও প্রয়োজনীয় সংস্কারে কাজ করছে সরকার।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব, ব্যয় সক্ষমতা নিয়ে নানা কথা বলছেন।সরকার পরিচালনায় একটা শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে, এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আছে। সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো। কৃষিতেক ভালো ফলন হয়েছে। প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে। রিজার্ভে একটা সন্তোজনক অবস্থা রয়েছে। সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী। এখানে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পও আমাদের আশা জাগাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এ পরিস্থিতিতেও এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব।’