শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে

ব্যাংক খাতের কোম্পানি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক টাকা ৭৮ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৭৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এবং অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর জন্য আগামী ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখে যথাক্রমে বেলা ১১টায় ও ১১টা ১০ মিনিটে অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ জুলাই।

এছাড়া ৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবদেন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর প্রথম প্রান্তিকে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ১৮ টাকা ৩৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৬ টাকা ৪২ পয়সা। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে  চার টাকা ৭৫ পয়সা, আগের বছর ছিল পাঁচ টাকা ৮৮ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও একই ছিল। দিনজুড়ে এক হাজার শেয়ার মোট দুই বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩৩ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৫২ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার ২৭২টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৪৩ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন