ভোলায় পুলিশের মানবিক কর্মকাণ্ড এখন জেলার সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছে। মহামারী করোনাভাইরাসে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বিপন্ন জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে জেলার বাসিন্দাদের কাছে আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ।করোনায় আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন, লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, নিজস্ব অর্থায়নে অসহায়দের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করেছে পুলিশ বাহিনী।
আর জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিটকে জনসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত ছুটছেন জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এতে জেলার বাসিন্দাদের কাছে পুলিশ সুপারের মানবিকতা প্রশংসিত হচ্ছে এবং পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোলা জেলা পুলিশ সদস্যরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। একটা সময় ছিল মানুষ শুধু মুখে মুখে নয়, প্রকাশ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে পুলিশের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করত। কিন্তু দিন এখন বদলে গেছে, করোনা দুর্যোগে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে এ জেলার পুলিশ এখন জনসেবার মডেল। এদিকে এ জেলা পুলিশের সব সদস্য দায়িত্বে ঊর্ধ্বে উঠে এমন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি জেলার চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখছেন। এতে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির মানবিক নির্দেশনা পালন করে আমরা সর্বদা জনসাধারণের পাশে রয়েছি। এ ছাড়া করোনার এমন পরিস্থিতিতে মানবিকতা আমাকে বসে থাকতে দেয় না। মানবিক মূল্যবোধ দেশপ্রেম, মানবপ্রেম সার্বক্ষণিকভাবে আমাকে তাড়া করে, তাই আমি অবিরাম ছুটে চলছি মানব সেবায়। তিনি বলেন, করোনায় মানুষের সেবা প্রদান করতে গিয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তাতেও আমরা থেমে নেই, জীবনের শেষ বিন্দু সময় পর্যন্ত দেশ ও জাতির সেবায়
নিজেদের বিলিয়ে দেব।
বার্তা প্রেরক
আজাহার হোসেন বাপ্পি
ভোলা