বিশ্বে মহামারি ভাইরাস করোনা (কোভিট-১৯) আতঙ্ক নিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে মাইক্রো ও প্রাইভেটকারে করে ভোলায় প্রবেশ করছে শত শত যাত্রী।
শনি ও রবিবার এমনই চিত্র দেখা গেছে ভোলার ভেদুরিয়া ও ইলিশা ফেরিঘাটে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আসছেন এসব যাত্রীরা।
ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব থাকা সদস্যরা এসব যাত্রীদের নানান অজুহাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
শনিবার ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে বরিশাল হয়ে ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটে আসা দুইটি মাইক্রোবাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করলেও পরে নানান অজুহাত দেখিয়ে তারা ফিরেছেন তাদের গ্রামের বাড়ি চরফ্যাশনে।
মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রী আব্দুস সালাম জানান, ১৮ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে সপরিবার ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে ভোলার চরফ্যাশন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে এসেছিলাম। এক প্রশ্নত্তোরে তিনি বলেন, সামনে ঈদ তাই করোনা ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে গ্রামের বাড়িতে চলে আসলাম।
প্রাইভেটকারে করে চট্টগ্রাম থেকে ভোলার উকিল পাড়ায় আসা আরেক যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম তাদের কর্মস্থলে থাকা খাওয়া অনেক কষ্টের। তাই সামনে ঈদ আসায় ফিরছেন নিজ গ্রামের বাড়ি। তবে চালকরা বলছেন, অতিরিক্ত টাকার জন্য জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে তারা যাত্রীবহন করে থাকেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা বলছেন, যারা আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও তাদের বিশেষ অনুরোধে ও নানান অজুহাতে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে পারছিনা।
তবে সচেতন নাগরিকমহল বলছে, জেলায় যাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে প্রবেশ করছে তারা নিজস্ব হোম কোয়ারান্টাইনে না থাকলে হয়তো অন্যান্যদের জীবনও থাকবে চরম ঝুঁকির মধ্যে।
বার্তা প্রেরক আজাহার হোসেন বাপ্পি ভোলা প্রতিনিধি