করোনা দূর্গতদের জন্য ক্ষুদে মুদি দোকানির মহানুভবতা

ক্ষুদে মুদি দোকানি পরিতোষ চন্দ্র সরকার (৬৩)। ব্যবসা করে যা আয় সেটা দিয়ে কোনোরকম সংসার চালান। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে অনেক কষ্টে ৪০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন তিনি।
কিন্ত করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে সঞ্চয়ের পুরো ৪০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মো. জাকির হোসেনের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলে ৪০ হাজার টাকা জমা দেন পরিতোষ চন্দ্র সরকার।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরহোসেনপুরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন পরিতোষ। দাম্পত্য জীবনে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের পাশেই ছোট্ট একটি মুদি দোকান আছে পরিতোষের। দোকানের ওই আয়েই টানাটানি করে চলে তার সংসার।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে আয় বন্ধ হয়ে যায় পরিতোষের। একদিন ঘরে বসে টেলিভিশনে করোনাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে নিজের টাকা দান করার জন্য অনুপ্রাণিত হন পরিতোষ। সিদ্ধান্ত নেনে মূলধনের ৪০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার।
কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ত্রাণ তহবিলে টাকা দেয়ার বিষয় জানলে বাধা দিতে পারে। এমন শঙ্কায় কাউকে না জানিয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন এই ব্যবসায়ী।  ৪০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দেওয়া অর্থ গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন।
পরিতোষ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে হৃদয়ে নাড়া দেয়। করোনা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান শুনে নিঃস্বার্থভাবে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেতে পেরে আমি আনন্দিত।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর উদ্যোগটি অসহায় মানুষের প্রতি মহানুভবতার একটি দারুণ উদাহরণ। তার প্রদেয় টাকা প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিলে পাঠানো হচ্ছে। সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান, উনার মতো আপনারাও এ দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন।
 বার্তা প্রেরক
আজহারুল ইসলাম জুয়েল
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন