ভোলার মানুষের বিপদের দিনের বন্ধু, গরিবের ডাক্তার শরীফ আহমেদ

করোনা মহামারীতে যখন সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশ ও বিপর্যস্ত অনেক ডাক্তাররা যখন নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার অজুহাত দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন রোগীদের সেবা দেওয়া থেকে, ঠিক সেখানে উল্টো ডাক্তার শরীফ আহমেদ।
নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে পরিবারের মায়া পিছনে রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ভোলার সাধারণ মানুষদের।

ডাঃ শরীফ আহমেদ জন্মসূত্রে ভোলার অধিবাসী না হলেও ভোলার মানুষদের নিজের পরিবারের মানুষের মতই ভালোবাসেন।

ডঃ শরীফ আহমেদ এর কাছ থেকে সেবা প্রাপ্ত একজন বলেন ,আমার শাশুড়ি প্রায় আট নয় দিন অসুস্থ। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে মেডিসিন খাইতে ছিল। কিন্তু টেলিমেডিসিন আমাদের সবার কাছে নতুন, যা রোগী এবং তার পরিবার সন্তুষ্ট নয়। হঠাৎ করে তার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ভোলার এক ডাক্তারের কাছে যায়। নামকরা স্থানীয় ঐ ডাক্তার দেখতে অপরাগতা দেখায় এবং রোগীর অসুস্থতা ও কোন কিছুর পরার্মশ দিলেন না। যিনি উক্ত পরিবারকে কয়েক দশক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।

কিন্তু তখন শরীফ স্যারকে আমি সন্ধ্যাপৌনে আটটায় ফোনে নক করি স্যার সাথে সাথে রেসপন্স করেন। এবং রাত সাড়ে আটটায় চেম্বার আসতে বলেন এবং রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এতে করে রোগী এবং তার পরিবার অনেক সন্তুষ্ট।

আমি এতোদিন জানতাম শরীফ স্যার গরিবের ডাক্তার এবং রাত নাই দিন নাই নিরলসভাবে যেকোন পরিস্থিতিতে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

আমার বাসার সামনেই স্যার থাকে। রাত ৩-৪ টার সময়ও এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আসে স্যারের বাসায়, কখনও তিনি রাগান্বিত হয় নাই। তিনি তাই আবার ও প্রমাণ করলেন এই মহামারীর সময়ে। আল্লাহর কাছে স্যারের জন্য সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করছি।

বার্তা প্রেরক :
আজাহার হোসেন বাপ্পি
ভোলা প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন