ফুলপুরে অসহায়দের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। বিপাকে শ্রমজীবীরা।

করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। বাহিরের জেলার সাথে ময়মনসিংহের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করা হয়েছে। একপ্রকার ঘরবন্দী জীবন যাপন চলছে। কর্ম না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের। ঘরে বন্দী থেকে তারা এখন অসহায়। এ বন্দীদশা থেকে কবে মিলবে মুক্তি না কেউ বলতে পারছে না।

এরইমধ্যে ইরি,বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে ধান কাটা মাড়াইয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা।

ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদশে ছাত্রলীগের কর্মীরা অসহায় মানুষের ধান কেটে দিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী জনাব শরীফ আহমেদের নির্দেশে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা শফিকুল ইসলাম এর উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার ভাইটকান্দী ইউনিয়নের দারুয়ারী গ্রামের কৃষক মৃত জালাল উদ্দিন এর প্রায় ৪.৫ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ছাত্রলীগের কর্মীরা।

ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন সচেতনরা।

ছাত্রলীগরা এসে ধান কেটে দেয়ায় এসময় কৃষক মৃত জালাল উদ্দিন স্ত্রী মোছা: মাজেদা খাতুন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন , শ্রমিক সঙ্কটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এলাকায় যে পরিমাণ শ্রমিক আছে মজুরি অনেক বেশি ।

আকাশের অবস্থা মাঝে মধ্যে খারাপ হচ্ছে। ঝড় হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। পড়ে তার এই দুঃখের কথা জেনে ছাত্রলীগের কর্মীরা কোন টাকা পয়সা ছাড়াই ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন । তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছে তা ভোলার নয়।

আমি মন থেকে দোয়া করি যেন তারা এভাবেই সারা জীবন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।

ফুলপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন , করোনাভাইরাসের প্রভাবে অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক না আসায় বিপাকে কৃষকরা। শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষক ধান কাটতে পারছেন না।

এই করোন মহামারিতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি দেয়া কষ্টসাধ্য। আমাদের পক্ষ থেকে ওইসব কৃষকদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। আগামীতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের সহযোগীতা অব্যহত থাকবে। যে কোন কৃষক শ্রমিক সংকটে যদি ধান কাটতে না পারেন তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সেই কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসবো। আর এই কাজের জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রস্তুত আছে।

বার্তা প্রেরক:
মোঃ আকিকুল ইসলাম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন