শুষ্ক কাশি হলে করণীয়

আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে শুষ্ক কাশির সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। তবে এবছরের কথা ভিন্ন। এখন শুষ্ক কাশি হলেও তা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না।

তবে শুষ্ক কাশি মানেই কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়া নয়। বরং আপনার শরীরের ভেতর জমে থাকা শ্লেষ্মা আর দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এই কাশি। লকডাউনের এই সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া দুষ্কর। তাই এই সময়ে শুষ্ক কাশি হলে নিতে হবে ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা-

মধু:

প্রতিদিন ১-৩ বার এক টেবিল চামচ করে বিশুদ্ধ মধু খান। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

আদা:

আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকরভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে যাবে।

পেঁয়াজ:

খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে চায়ের মতো দিনে দুইবার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

রসুন:

রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামুচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।

গার্গল করা:

গার্গল করলে গলাব্যথা কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।

হলুদ:

কাশি নিয়ন্ত্রণে হলুদ রীতিমতো ঐতিহাসিক ঘরোয়া উপাদান! এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন