দেশের করোনার টিকা কিনতে ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। আর এসব টিকা প্রয়োগ করতে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যেসব দেশে টিকা তৈরি হয়, তারা হয়তো আরও বেশি দিয়েছে। আমরা টিকা তৈরি করি না। জোগাড় করে দিয়েছি। তবুও টিকাদানে আমাদের দেশ বেশ ভালো করেছে। মঙ্গলবার শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের টিকা এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি, বয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে।
সব কাজ কিন্তু একসঙ্গে চলছে। দেশে ডেঙ্গু বেড়েছে, আমাদের তাদেরও চিকিৎসা দিতে হয়েছে একই সময়ে। এর মানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বসে নেই, কাজ করছে। যক্ষ্মা রোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেশে গড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়। বর্তমানে কভিডকালীন মহামারীতে অন্যান্য রোগের সাথে এই রোগের চিকিৎসাও স্বাস্থ্যখাতকে দিতে হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্যখাত কভিড, ডেঙ্গু চিকিৎসার পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগেরও সঠিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগে প্রতি বছর গড়ে ৯০ ভাগ মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার প্রমাণ করে এই সরকার রোগীকেন্দ্রিক সেবা প্রদানে কতটা আন্তরিক।
আমরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রোগীকেন্দ্রিক যক্ষ্মার সেবা সম্প্রসারণ করবো। ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যৌথভাবে কাজ করার এক অনন্য নজির। আমাদের সরকার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যা ২০৩০ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও অবদান রাখবে। এ ছাড়া যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র্যান্ডি আলি প্রমুখ।