সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা

দেশে চলমান করোনা সংক্রমণের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারের জারি করা সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে আরও কয়েক ধাপে। এখন পর্যন্ত ৫ মে করা হয়েছে ছুটির সময়। ইতোমধ্যেই করোনার কারণে বন্ধ হয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সোমবার রাজশাহী বিভাগের আট জেলার খবর নিতে ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে’ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে ১ এপ্রিল থেকে ‘এইচএসসি’ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত ২২ মার্চ পরীক্ষা স্থগিত করে তা আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এবার করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বর্তমানে সেটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আগামী সেপ্টেম্বরের আগে আয়োজন করা সম্ভব হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী ১৫ দিন পর এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজন করতে সারাদেশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এত বড় পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না।

সচিব বলেন, পরীক্ষা নিতে হলে অবশ্যই আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। কারণ, পরীক্ষার কেন্দ্র তো প্রতিষ্ঠাননির্ভর। তাই যতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হচ্ছে ততদিন পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।

সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে, এর পরবর্তী ১৫ দিন পর এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ জন্য একাধিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনোভাবেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন