রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির সাত বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ধসে পড়েছিল নয় তলা ভবন রানা প্লাজা। এটি ছিল দেশের পোশাক শিল্পে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। ভবন ধসে প্রাণ হারান হাজারেরও বেশি মানুষ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারাও পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। যাদের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। এর আগে বর্ষপূর্তিতে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সারাদেশে শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ বছর সেসব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনসমাগম না করে, এ বছর নিজ অবস্থানে থেকে নীরবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৫টি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন সাভারের আশুলিয়ার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম। সেখানে এই সিদ্ধান্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ শ পরিবারসহ কর্মহীন মোট এক হাজার ৩৫০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু করেছে।’