করোনায় মেদ-গ্যাস রুখবেন যেভাবে

করোনা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ দিনের লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে থাকায় কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় অনেকের নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এর মধ্যে পেটে গ্যাস বা অম্বল ইংরেজিতে যাকে বলে অ্যাসিডিটি অন্যতম। একই সঙ্গে আছে মেদ বাড়ার ঝামেলা।

বাইরেও যাওয়া যাচ্ছে না, আবার অনেকের ঘরে যথেষ্ট জায়গা নেই যে গা নাড়াচাড়া করে খাবার হজমে সহায়তা করবে। তাহলে করণীয়? কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই এর হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

লকডাউনের সময়ে অনেকেই প্রতিদিন একাধিক ডিম খাচ্ছেন। দিনের পর দিন অন্য খাবার কম খেয়ে শুধুই ডিম বা যেকোনও একটি পদ খেলে কিন্তু হজমের সমস্যা বাড়বে। আবার শুয়ে-বসে গা-হাত-পায়ে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যথার ওষুধ খেয়ে নেন। এতেও অ্যাসিডিটি ও হজম সমস্যা হতে পারে।

এই ঘরবন্দি জীবনে ছোটখাটো দু-একটা পরিবর্তন এনে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেগুলোঃ

সকালে ঘুম থেকে উঠে সম্ভব হলে ছাদে গিয়ে মিনিট দশেক পায়চারি করে আসুন। অসুবিধা থাকলে বারান্দায় বা বাড়ির মধ্যে হাঁটুন।

চা পানের আগে গরম পানিতে লেবু আর সামান্য আদার রস মিশিয়ে খান। এই দুটিই ইমিউনিটি বুস্টার, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অত্যন্ত উপযোগী। চায়ে চিনি নয়, বরং মধু মিশিয়ে খান।

বাড়ির টুকটাক কাজ করতে পারলে এক দিকে মেদ জমার ঝুঁকি কমে, অন্য দিকে হজমশক্তি ভালো হয়।

একটানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর ওঠা-হাঁটা করে আসুন। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে তাদের সঙ্গে খেলুন, শরীর-মন ভালো থাকবে।

অতিরিক্ত নুন খাবেন না। খাবারে ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন।ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন।

তেলে ভাজা খবারের বদলে চেষ্টা করুন সেঁকা পাঁপড়, বাদাম, ননস্টিক প্যানে তেল ছাড়া শুকনো ভাজা চিড়ে খেতে।

শসা, ভেজানো ছোলা ও পেঁয়াজ, বিট নুন, পাতিলেবুর রস দিয়ে চানা বানিয়ে খেতে পারেন। অত্যন্ত মুখরোচক অথচ পুষ্টিকর।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কিন্তু সারা দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘরে বা বারান্দায় পায়চারি করুন। নিজেদের মধ্যে গল্প করুন। খাওয়ার ঘণ্টা খানেক পর ঘুমোতে যান।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন