প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৬০ জনের মধ্যে ১৬ জনই নারায়ণগঞ্জের। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। গেলো কয়েক দিনে অন্তত দশটি জেলায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন, যাঁরা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছেন। প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে শত শত মানুষ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার ঘোষণা আসে। ওইদিন দুই বিদেশফেরতসহ তিনজন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তাদের দুজন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। এরপর থেকে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, যা এখনো চলছে। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়। পরদিন লক ডাউন করা হয় পুরো জেলা। কিন্তু তা পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি।
সবশেষ ২৪ ঘন্টার হিসাবে এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৫ জনে। সংক্রমণের দিক থেকে ঢাকা মহানগরের পরই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান।
টাঙ্গাইলে শনাক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। নরসিংদীতে শনাক্ত দুজনও নারায়ণগঞ্জে চাকরি করতেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, সিলেটসহ অনন্ত ১০টি জেলায় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরাও নারায়ণগঞ্জফেরত।
নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে সড়ক ও নৌপথে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। লকডাউন অমান্য করে পণ্যবাহী ট্রাক, ট্রলার, বাস, অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে চড়ে শত শত মানুষ বিভিন্ন জেলায় নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে এখনো। পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে অনেকেই।