দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই বসানো হয়েছে পদ্মাসেতুর ২৮তম স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার।
অনুকূল আবহাওয়া ও কারিগরি কোনও জটিলতা দেখা না দেওয়ায় দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদ্মাসেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। যে দুইটি পিলারের অবস্থান মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও মাদারীপুরে শিবচর এলাকায়।
শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শেষ হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের। এর আগে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় এসেছে ৩৯টি। বাকি দুইটি স্প্যান চীনে নির্মাণ করে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের কাজ সম্পন্ন। এসব পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো বাকি আছে ১৩টি স্প্যান। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ২৯তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।