রবিবার সকাল ১০টায় নগরীর কেডিসি, কাউনিয়া বিসিক, রূপাতলী হাউজিং, আমতলার মোড়, বিআইপি গেট এবং জুমির খান সড়কের ৭টি পয়েন্টে ট্রাকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য বিভাগ। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারন ক্রেতাদের অনেক ভিড় দেখা গেছে। তাদের সামাজিক দূরত্ব না মেনে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভীড় করে ১০ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে দেখা গেছে। স্বল্পমূল্যে চাল কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে লাইন ভঙ্গ করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ১০-১৫ কেজি চাল বিক্রি করার অভিযোগ করেন তারা। এতে ক্ষুব্ধ হন অনেকে।
এদিকে বরিশাল খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক মো. জামাল হোসেন জানান, ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন হওয়ায় অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিরারদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও ক্রেতারা শুনছেন না। তবে চাল বিক্রিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
অপরদিকে রবিবার জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমান আদালতও খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি এবং টিসিবি’র পন্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন। তারা ক্রেতাদের সামজিক দূরত্ব মেনে সু-শৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়িয়ে পন্য কেনার পরামর্শ দেন বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান ও মো. সাইফুল ইসলাম।
খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ৭টি পয়েন্টের প্রতিটিতে ট্রাকে করে প্রতিদিন ২ টন করে মোট ১৪ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে বরিশাল নগরীতে।
যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন খাদ্য বিভাগের স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
খাদ্য বিভাগ ছাড়াও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবি নগরীর ১১টি পয়েন্টে এবং বিভাগের আরও ১১টি পয়েন্টে প্রতিদিন ন্যায্য মূলে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও মসুর ডাল বিক্রি করছে।