মাগুরা প্রতিনিধি: রক্সী খান
নিখোঁজের প্রায় একমাস পর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় পিকুল বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার চর মহেশপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার চর মহেশপুর গ্রামের কাজী মোশারফ হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। পুলিশ সুপার খান মুহাম্মাদ রেজোয়ান জানান, পিকুল বিশ্বাস গত ২ মার্চ নিজ গ্রাম থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান।পরদিন তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন।গত ৭ মার্চ নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেন তার পরিবার।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়, গত ৩ মার্চ পিকুল শ্রীপুরে আসেন এবং পিকুলের সঙ্গে তার বাড়ির পাশের গ্রামের চর মহেশপুরের রাজিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা হয়। পুলিশ মোবাইল ফোনের কল লিস্ট সূত্র ধরে রাজিয়া কে ও তার প্রবাসী স্বামী কাজী মোশারফ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, গত ৩ মার্চ বিকেলে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান।
তারা রাত্রে দুধের সঙ্গে একাধিক ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ার পরে পিকুল অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলপাড়ে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেন। হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, মূলত প্রবাসী কাজী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেহ মাটি চাপা দেয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার গভীর রাতে মোশাররফের বাড়ির কল পাড়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
