ভোলার বোরহানউদ্দিনে মোবাইল চুরির অপবাদে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে নির্যাতনকারী সেই নাবিল হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রাসেলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাবিল হায়দার ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ছেলে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাত পাঁচ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক সাগর চৌধুরী বলেন, ‘‘বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের কথা থাকলেও ওই ইউনিয়নে দেওয়া হয় সবোর্চ্চ ২০ কেজি করে। এ ঘটনা আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীকে জানাই।
‘এছাড়া রাতের আঁধারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সময় আমি ছবি তুলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে আমাকে ফোন করে। জরুরি কথার ছলে আমাকে রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। আমি সেখানে পৌঁছলেই সে আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে। আমি নাকি তার মোবাইল ফোন চুরি করার চেষ্টা করছি এটা বলে আরও মারধর করে।
‘মারধর করতে থাকা অবস্থায় আমাকে চোর আখ্যা দিয়ে ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় ভোলা সদর হাসপাতলে আমাকে ভর্তি করা হয়।”