আফ্রিকার দেশ গিনিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আটক করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে। ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে সেনাবাহিনী। তারা, সংবিধান বাতিল ও সরকার ভেঙে দিয়েছে।
কর্নেল মামাদি দুমবোয়ার নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান হয় বলে জানা গেছে। সৈন্য পরিবেষ্টিত ইউনিফর্ম পরা একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে আটকের পর আমরা সংবিধান বাতিল ও সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, গিনির স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ থাকবে। এছাড়া পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী কারফিউ বলবৎ থাকবে বলেও এক বিবৃতিতে বলা হয়। পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মামাদি অভিযোগ করেন, কন্ডে রাজনীতিকে নিজের সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেননি তিনি।
মামাদি বলেন, ‘আমরা আর এক ব্যক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই।’ গত বছর সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচনে ৮৩ বছর বয়স্ক কন্ডে তৃতীয়বারে মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গিনিকে সমর্থনে মার্কিন সক্ষমতার একটা সীমা রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস টুইটারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে কন্ডেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া তুরস্ক, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডি আর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তিশেকেদিও অভ্যুত্থানের নিন্দা এবং কন্ডেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।