কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ। তার আগে লম্বা খেলার ধকল শেষে বিশ্রামও মিলেছে। এবার নিউজিল্যান্ড বধের জন্য নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়া। অস্ট্রেলিয়াকে দলগত পারফরম্যান্সেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। বোলাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন সাফল্যের, সঙ্গে ছোট ছোট ইনিংস দিয়ে একেক দিন একেক ব্যাটসম্যান যোগ দিয়েছেন অভিযানে।
এবার পরিকল্পনা কী? কাল প্রথম ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে নুরুল হাসান সোহান জানালেন ভিন্নতা নেই। আগের মতোই দলগত পারফরম্যান্সে সিরিজ নিশ্চিত করতে চান। অবশ্য সোহান জানেন অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডকে হারানো খুব সহজ হবে না। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছেন।
সিরিজের প্রথম অনুশীলন যেন ছিল আলাদা সেশনের। সব কোচিং স্টাফের উপস্থিতিতে আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা হলো। পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বসলেন পেসারদের নিয়ে ডাগআউটে, স্পিনারদের নিয়ে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেলেন রঙ্গনা হেরাথ। আর ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর আলাদা আলোচনা ছিল।
সবার উপস্থিতির দিনে কেবল ছিলেন না সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে দেরি হওয়ায় কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ দুপুর থেকে অনুশীলনে নামবেন সাকিব। কোচদের সঙ্গে আলাদা সেশনের পরে অবশ্য গা গরমে ফুটবল, স্কিল-স্ট্রেন্থিং সেশন এবং ব্যাট-বলের নেট সেশনও করেছে বাংলাদেশ।
অনুশীলন শেষে সোহান গণমাধ্যমকে জানান, দলীয় ঐক্য নিয়েই এ সিরিজে খেলবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ম্যাচউইনারের অভাব বরাবরই। তবে গত দুই সিরিজে এই ফরম্যাটে দলীয় নৈপুণ্যে সফলতা এসেছে। বিশ্বকাপের আগে এই পথ ধরে আরেকটি সাফল্য চান সোহানরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ টি-টোয়েন্টি খেলে কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ।
দলীয় সাফল্যে সেই ধারা বদলানোর প্রেরণা খুঁজছেন সোহান, ‘সবশেষ দুটি সিরিজ আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জিং বা প্রতিযোগিতা বলতে, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে খুব ভালো পরিবেশ রয়েছে। আমরা ১৫ জন বা ২০ জন যারাই আছি, সবাই মন থেকে চাই যেন মাঠের ১১ জন ভালো করে। সবাই সবাইকে সাহায্য-সহযোগিতা করে, যেটা দল হিসেবে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করেছি। মোস্তাফিজ তো অসাধারণ ছিল (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)। সাকিব ভাই, শরিফুল, সবাই খুবই ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। মেহেদিও খুব ভালো বোলিং করেছে। সত্যি কথা বলতে, আমরা সবাই দল হিসেবে খেলতে পেরেছি, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে ইনশাল্লাহ ভালো কিছু করব আমরা।’
মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাশ ফেরায় সোহানের একাদশে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন। তবুও নিজেকে দলের জন্য যেকোনো সময় প্রস্তুত রাখছেন। যেন সুযোগ পেলেই ছোট পদক্ষেপে হলেও দলকে সাহায্য করতে পারেন, ‘আমি ৫০-১০০ করলেও যদি দল হারে, এটার থেকে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়ে অবদান রাখা। ৫ রান হোক বা ১০ রান, দলের যেটা উপকার হয়। যেখান থেকে বা যেখানেই সুযোগ পাই না কেন, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের প্রয়োজনে যতটুকু করতে পারি।’