সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদনের শুনানি আবার চালু হয়েছে। আজ রবিবার হাইকোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর আগে ১৭ আগস্ট আগাম জামিনের শুনানি করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২২ আগস্ট হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চসমূহে আগাম জামিন শুনানি গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চসমূহ শুনানির বিষয়ে সময় নির্ধারণ করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। আজ বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (দেওয়ানি) মো. হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, আজ একদিনেই প্রায় ১৩০০ আগাম জামিন আবেদন জমা হয়েছে। এসব জামিন আবেদন নির্ধারিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কার্যতালিকা অনুযায়ী শুনানি হবে।
আগাম জামিন আবেদনে আবেদনকারীর সরাসরি উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্টে সেটি কিভাবে হবে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আগাম জামিন আবেদন শুনানির বিষয়টি আজ আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চের নজরে এনেছিলাম।
আদালত বলেছেন, আগাম জামিন আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীকে মামলার এফআইআর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি যুক্ত করতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীকে তার মূল জাতীয় পরিচয়পত্রটি শুনানির আগের দিন আদালতে জমা দিতে হবে এবং সেটি তিনি শুনানির পর ফেরত পাবেন। আর জামিন শুনানির সময় আইনজীবীর চেম্বারে বসেই আবেদনকারী ভার্চুয়াল আদালতে নিজেকে প্রদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়া ভিড় কমানোর জন্য একটা আবেদনে একসঙ্গে ৫ জন জামিন আবেদন করতে পারবেন এবং শুনানির দিন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সংশ্লিষ্ট কোর্টে অ্যাসাইনড থাকবেন। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের বিধিনিষেধ এবং আসামিদের উপস্থিতির বিষয়টি এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আগাম জামিনের শুনানি বন্ধ ছিলো।