দুবাইয়ে ‘চিকেন ডিনার’ পেল বাংলার গেমার দল

শেষ হলো পাবজি মোবাইলের গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপ। সারাবিশ্বের বাছাইকৃত ১৬টি দলের মধ্যে সেরাদের সেরা হয়েছে নোভা এক্স কিউ এফ। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র দল হিসেবে অংশ নেওয়া এওয়ানই-স্পোর্টস ১৫ নম্বর অবস্থানে থেকে আসর শেষ করেছে। আশানুরূপ ফলাফল না পেলেও আসরে শেষ দিনে এসে চিকেন ডিনার পেয়েছে বাংলার গেমার দল। আর আসরে ‘দ্য সার্ভাইভার’ এর খেতাব পেয়েছে এওয়ানই-স্পোর্টস এর গেমার দান্তে।

বাংলাদেশের গেমিং জগতে আত্মতুষ্টির একটা নতুন অধ্যায়। অনলাইন গেমারদের জন্য এক দৃষ্টান্ত। যদিও সেরাদের সেরা হওয়া হয়নি, তাতে কি! প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের গেমারদের টপকে পাবজি মোবাইল গেমের বিশ্ব আসরে লড়তে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে বাংলার গেমাররা, তাও বা কম কি!
দুবাইয়ে নির্ধারিত দিন ২১ জানুয়ারি গ্র্যান্ড ফাইনালের খেলা শুরু হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে স্থগিত ছিলো মাঝের দু’দিন। প্রথম দিন শেষে ১০ নম্বরে থাকলেও ২য় দিনে এসে ১৬ দলের মধ্যে ১৫ নম্বরে নেমে যায় বাংলাদেশের হয়ে পিএমজিসিতে খেলতে আসা এওয়ানই-স্পোর্টস। আর ৩য় দিনে তো তালিকার তলানিতেই চলে যায় সিনিস্টার-দান্তেরা।

শেষ দিনে মোট আটটা ম্যাচ ছিলো হাতে। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন না থাকলেও নিজেদের প্রমাণের একটা তীব্র আকাঙ্খা ছিলো এওয়ানের। এদিন শুরুটাও খারাপ হয়নি। ইরাঙ্গেল ম্যাপে ৭ নম্বরে থেকে প্রথম ম্যাচ শেষ করে তারা। মিরামারে অবস্থান আবারও কিছুটা নিচে নেমে হয় ১০। মাঝে স্যানহক-ভিকেন্ডিতেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলো না দেশের গেমিং দলটা। তবে শেষ মুহূর্তে এসে ৭ নম্বর ম্যাচে গেমিং জগতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেয় তারা। ১২ টা কিল পয়েন্ট নিয়ে বাকি ১৫টা সেরা দলকে এলিমিনেট করে চিকেন ডিনার জিতে নেয় এওয়ান। টেবিলে উঠে আসে ১৪ নম্বর অবস্থানে।

তবে শেষ ম্যাচে নিজেদের অবস্থানটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ফাইনাল ম্যাচ শেষে ১৫ নম্বরেই চূড়ান্ত জায়গা হয় এওয়ান ই-স্পোর্টসের। দলগত পারফর্মেন্স এ অভিজ্ঞতার ঘাটতি কাটিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চয় আরও ভালো করবে এই গেমাররা। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নোভা এক্সকিউএফ। দারুণ খেলেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে পড়ে দুই নম্বরে আছে ফোর অ্যাংরি ম্যান। বেস্ট প্লেয়ার এর খেতাব জিতেছে ফোরএএম’র সুক। আর সারভাইভাল এই গেমের ‘দ্য সারভাইভার’ খেতাব জিতেছে বাংলাদেশের দান্তে। প্রযুক্তির যুগে হয়তো এই গেমাররা লাল-সবুজের পতাকাকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়েও বিশ্বমঞ্চে জায়গা পেয়েছে, কিছুটা নজর দিলে হয়তো শিরোপাটাও উড়িয়ে আনবে বাংলার ভবিষ্যত গেমাররা।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন