ইন্দোনেশিয়ার বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও শরীরের টুকরো উদ্ধার

জাভা সাগরে ৬২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার বিমানের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। রোববার (১০ জানুয়ারি) সাগর থেকে শ্রীবিজয়া এয়ারের বেশকিছু ধ্বংসাবশেষ ও কারো শরীরের টুকরো পাওয়ার দাবি করেছে উদ্ধারকারীরা। শনিবার ১০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে যাত্রীবাহী বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জাভা সাগরে আছড়ে পড়ে। সাগরে বিমানের সন্ধান ও নিখোঁজ উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। রাতভর অভিযানের ফলে বিমানটি যে জায়গা ধ্বংস হয় ওই এলাকা শনাক্ত করা গেছে। তারপরও উদ্ধারকারীদের চোখে ঘুম নেই। হেলিকপ্টার-জাহাজ নিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বুদি ক্যারিয়া সুমাদি গণমাধ্যমে জানান, ‘যে জায়গায় ধ্বংস হয়েছিল, সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। সেখান থেকে বস্তা পাওয়া গেছে। একটি কাপড় অন্যটিতে কারও দেহের টুকরো। এই জিনিসগুলো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ বিমান দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া। জীবিত না হোক অত্যন্ত প্রিয়জনের মরদেহ চান স্বজনরা। এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাদি তজাহানতো মৃতদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নিয়ন্ত্রণ হারানো বিমান জাভা সাগরে আছড়ে পড়লে ওই এলাকাজুড়ে বিকট শব্দ হয়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে এমনটাই জানান স্থানীয় জেলে সোলহিন। তার দেখা মতে, তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছিল। কিছুই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ বিকট শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ এসে আমার নৌকায় আঘাত হানে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি জ্বালানি তেল এবং বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ নৌকার চারপাশে।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়ন করে শ্রীবিজয়া এয়ারের অভ্যন্তরীণ এসজে-১৮২ ফ্লাইট। উড্ডয়নের চার মিনিট পরেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বিমান জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানে ৬২ আরোহীসহ ৬ ক্রু ছিলেন।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন