ট্রাম্পকে অভিসংশনে রিপাবলিকানদের সম্মতি

পাল্টে যাচ্ছে মার্কিন রাজনীতির দৃশ্যপট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অপসারণে সম্মত না হলেও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্ট বিল পাশ হয়ে সিনেটের বিচারে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণে অসম্মতি জানাননি।

এমনকি ইমপিচমেন্ট যদি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না হয় তাহলে ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন আর কমলা হ্যারিসের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতেও তার আপত্তি নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাইক পেন্স। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পরিক্রমায় ইলেক্টরাল কলেজ ভোটে বিজয়ীদের দায়িত্ব গ্রহণের সকল পর্বে মাইক পেন্স সরব থাকতে চান।

কংগ্রেসের সকল ডেমোক্র্যাট এবং কিছু রিপাবলিকানের দাবি অনুযায়ী ট্রাম্প যদি সোমবার সকালের মধ্যে পদত্যাগ না করেন অথবা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স-সহ মন্ত্রীরা যদি ট্রাম্পকে অপসারণের পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সোমবার ১১ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে অভিশংসনের বিল উঠবে এবং সম্ভবত: পরদিনই তা উভয় পার্টির ভোটে পাশ হবে। কয়েক ডজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ইতিমধ্যেই এই বিলে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন।

অপরদিকে সিনেটের অন্তত: ১৭ রিপাবলিকানও শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাদের সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থাৎ ৬০ জনের অধিক সিনেটরের ভোটে তা পাশ হবার পথ সুগম রয়েছে। ট্রায়ালেও থামিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পরিষ্ঠান এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। ‘মতিভ্রম প্রেসিডেন্ট’ কর্তৃক আর কোন অঘটনের সুযোগ দিতে রাজি নন গত বুধবারের জঙ্গি হামলায় বেঁচে যাওয়া কংগ্রেসম্যানরা।

১১ মাসের মধ্যে এটি হচ্ছে ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট করার দ্বিতীয় উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চতুর্থ ঘটনা। তবে ১১ মাস আগে প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচের বিল পাশ হলেও সিনেটে রিপাবলিকানরা সেটিকে আমলে নিয়ে সিনেট ট্রায়ালে তাকে মুক্তি দিয়েছে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন