হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর মরদেহ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাটহাজারীসহ আশপাশের চার উপজেলায় ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স মাদ্রাসায় পৌঁছায়। এর আগে ভোর ৪টায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ থেকে আল্লামা শফীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
আল্লামা শফীকে একনজর দেখতে ও জানাজায় শরিক হতে তার ছাত্র ও ভক্তরা হাটহাজারীতে ভোর থেকেই আসতে শুরু করেছেন। সেখানে রীতিমতো জনস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রবীণ এই আলেমকে শেষবারের মতো দেখা এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রাখা হবে। এরপর বেলা ২টায় জানাজা শেষ মাদ্রাসার ভেতর উত্তর মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে আল্লামা শফী ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা ছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন।