পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি মার্বেল খনিতে পাথর ধসের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা এরই মধ্যে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরগুলোতে বলা হয়েছে। জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তঘেঁষা খয়বর পাখতুনখাওয়া রাজ্যে মোহমান্দ পার্বত্য জেলার খনিটিতে সোমবার রাতে পাথর ধস হলে তাৎক্ষণিক ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আহতদের মধ্যে আরও ১০ জনের জেলার মোহমান্দ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
জেলা পুলিশ অফিসার তারিক হাবিব জিও নিউজকে বলেছেন, এখনো অনেকে খনির ভেতরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধার কাজ চলছে। ডেপুটি কমিশনার ইফতিখার আলম জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর আগে রাজ্য সরকারের খনি এবং খনিজ মন্ত্রী মোহাম্মদ আরিফ এএফপিকে বলেছিলেন, “মার্বেল পাথরের খনিতে পাথ ধসের পর এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আহত আরও ২০ জনকে।”
পাকিস্তানের খনিগুলোতে খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন শ্রমিকেরা। নিরাপত্তাহীনতার কারণে খনিতে নানা দুর্ঘটনায় প্রতি বছর অনেক মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। ২০১১ সালে বেলুচিস্তানের সোরেঙ্গে জেলার একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।