আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৬ কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫৩২ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৩১৪ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আনসার বাহিনীর নতুন করে ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাহিনীর ৫৩২ জন সদস্য।
আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা ৬ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ১৬৩ জন, সাধারণ আনসার ৩৪৭ জন, কর্মচারী ২ জন, মহিলা আনসার ৩ জন, ভিডিপি সদস্য ২ জন, বিশেষ আনসার ৩ জন, হিল আনসার ৪ জন, উপজেলা প্রশিক্ষক একজন এবং উপজেলা প্রশিক্ষিকা একজন। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন।
এ পর্যন্ত বাহিনীর কর্মকর্তাসহ মোট ৩১৪ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন, সুস্থতার হার ৫৯ শতাংশের চেয়ে বেশি। দুজন কর্মকর্তা, ব্যাটালিয়ন আনসার ৯০ জন, সাধারণ আনসার ২১৩ জন, কর্মচারী দুজন, মহিলা আনসার দুজন, ভিডিপি সদস্য একজন, বিশেষ আনসার তিনজন এবং উপজেলা আনসার কমান্ডার একজন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসায় শতভাগ সুস্থ সদস্যরাই কর্মক্ষেত্রে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাহিনীর তিন জন সদস্য মারা গেছেন। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাহিনীর আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। আব্দুল মজিদ পিসি অঙ্গীভূত আনসার, তার বাড়িও বগুড়ায়। মৃত্যুর আগে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় দায়িত্বরত ছিলেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ জুন দুপুরে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আনসার সদস্য আব্দুস সোবহান। তার বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার উত্তর কালাইহাট গ্রামে। মৃত্যুর আগে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ছিলেন।
সর্বশেষ দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত ২০ ব্যাটালিয়নের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. আব্দুর রউফ (৫৫) মারা গেছেন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৫ জুন) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার খামার নড়াইলের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন মোবাইল কোর্ট ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।