রাজ্জাকের জন্মদিনে আইসিসির শুভেচ্ছা

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ২০০ উইকেট শিকারি বোলার আব্দুর রাজ্জাক। স্বীকৃত ক্রিকেটে (প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ও টি-টোয়েন্টি) দেশের প্রথম ও একমাত্র বোলার হিসেবে শিকার করেছেন ১ হাজার উইকেট।

বর্তমানে তার উইকেটসংখ্যা ১১৪৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪১ বার পাঁচ উইকেটসহ ৬৩৪, লিস্ট এ’তে ৯ বার পাঁচ উইকেটসহ ৪১২ এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রাজ্জাকের শিকার ৯৯টি উইকেট। তিন ফরম্যাট মিলে উইকেটসংখ্যায় তার ধারেকাছেও নেই দেশের অন্য কোন বোলার।

গত কয়েকবছর ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত না হলেও, মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে এবং রফিক পরবর্তী যুগে রাজ্জাকই ছিলেন দলের এক নম্বর স্পিনার। নিয়ন্ত্রিত বাঁহাতি স্পিনের সঙ্গে বিষ মাখানো টপ স্পিন যেন মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য।

আজ (১৫ জুন) সেই রাজ্জাকের ৩৮তম জন্মদিন। এই বয়সেও দিব্যি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন রাজ্জাক। করোনাভাইরাসের কারণে থেমে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়কত্ব করছেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের।

দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ স্পিনারের ৩৮তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আইসিসি। সেখানে তারা মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্জাকের হ্যাটট্রিকের কথা। তিন ফরম্যাটে ঠিক ২০০ ম্যাচ খেলে রাজ্জাকের ২৭৯ উইকেটের কথাও উল্লেখ করেছে আইসিসি।

রাজ্জাকের জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় আইসিসি লিখেছে, ‘১৩ টেস্ট, ১৫৩ ওয়ানডে, ৩৪ টি-টোয়েন্টি; সবমিলে ২৭৯ আন্তর্জাতিক উইকেট। ২০১০ সালের বিশ্বের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক এবং বাংলাদেশের দ্রুততম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডও তার। শুভ জন্মদিন আব্দুর রাজ্জাক।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে তখনও পর্যন্ত রাজ্জাকের আগে হ্যাটট্রিক করা একমাত্র স্পিনার ছিলেন সাকলাইন মুশতাক। তবে রাজ্জাকের পরে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করেছেন আরও ছয় স্পিনার। যেখানে রয়েছেন বাংলাদেশ আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৪ সালে)।

শুধু বল হাতে হ্যাটট্রিক নয়, ব্যাট হাতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঝড় তুলেছিলেন রাজ্জাক। ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ চার ও ৫ ছয়ের মারে ২২ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি। সেদিন ফিফটি করেন ২১ বলে। যা বাংলাদেশের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন