পলিশ ব্যবহারই হতে পারে লালার সেরা বিকল্প : মুমিনুল

করোনাকালীন ক্রিকেটের জন্য আইসিসি যে ৫টি নতুন নিয়ম করেছে, তার ভেতরে সবচেয়ে আলোচিত হলো বলের লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা।

পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটে একেক দল ১০০-১৫০ ওভার ব্যাটিং করে ফেলে। এ দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের কারণে বলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। ফলে বল সুইং করানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে বল পুরোনো হবার পরও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে মুখের লালা ব্যবহার করে আসছে দলগুলো।

লালার ব্যবহার এবং ট্রাউজার্সে বল ঘষা- দুটিই অনেক পুরোনো রীতি। এতে বলের ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই বজায় থাকে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানে করোনার ভয়বাহ বিস্তার ও সংক্রমণে লালার ব্যবহার হতে পারে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

যেহেতু একই বলে বিভিন্ন বোলার ও ফিল্ডারের মুখের লালা ব্যবহার করা হয়, তাই এখন করেনার সময় সেটা করা মানেই দলের ১১ জন ক্রিকেটারকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া। সে চিন্তা থেকে বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা বয়েছে।

খুব প্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ন জেগেছে, লালা হচ্ছে পেস বোলারদের বল সুইং করানোর একটি কার্যকর দাওয়াই। এখন লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ হলে বোলাররা কী করবেন? আইসিসি লালার বিকল্প হিসেবে কী দেবে? ভ্যাসলিন না অন্য কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা যাবে?

তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটাররা যাতে খেলতে নেমে বলে লালা লাগিয়ে যাতে করোনা সংক্রমিত না হয়, সে চিন্তায় এ বিশেষ সতর্কতা। উদ্ভুত পরিস্থিতি ও পরিবেশের কারণে এমন চিন্তার উদ্রেক ঘটেছে। এটাকে আমার তেমন নেতিবাচক দিক মনে হয়নি। বরং এটাকে সময়োপযোগী ও ভাল সিদ্ধান্ত বলেই মনে হয়েছে।’

লালার কিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভ্যাসলিন ব্যবহার করার অনুমতির কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? মুমিনুল এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যাসলিন নয় বিকল্প প্রস্তাব করেছেন।

তার ব্যাখ্যা, ‘ভ্যাসলিন ব্যবহার করলে হয়ত একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারে। ভ্যাসলিনে বলের ঔজ্জ্বল্য একটু বেশিই থাকতে পারে। পাশাপাশি পলিশ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমার মনে হয় ভ্যাসলিনটা অন্যরকমও হয়ে যেতে পারে। ভ্যাসলিন বলকে বেশি চকচকে করে দিতে পারে। অনেক বড় বড় খেলোয়াড় যেমন শচিন টেন্ডুলকারের মত গ্রেটও ভ্যাসলিনের বদলে পলিশ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।’

মুমিনুল মানছেন, ‘লালা ব্যবহার করতে না পারায় বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আসলে কিছু করারও ছিল না। এ পরিবর্তনট ছাড়া আসলে উপায়ও ছিল না।’

করোনা উপসর্গ দেখা দিলে কোন ক্রিকেটারের বদলে আরেকজনকে খেলানোর নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালিন করোনায় আক্রান্ত হলে, তার খেলাটা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। একটি পুরো দলের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এতে করে ম্যাচ বা সিরিজ বাতিল হয়ে যেতে পারে।’

স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার নিয়মটিকে অনেক বড় ব্যাপার বলে মনে হয় মুমিনুলের ‘লোকাল আম্পায়ারদের সামনে এখন বড় সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে। তারা টেস্ট আম্পাায়ারিং করার সুযোগ পাবেন। এটা তাদের জন্য পজিটিভ।

যে দেশে খেলা হবে সে দেশ অতি অবশ্যই তাদের সম্ভাব্য সেরা আম্পায়দের দিয়েই খেলা পরিচালনা করবে। কিন্তু এতে বাংলাদেশের কি কোন লাভ হবে? বাংলাদেশে কি টেস্ট পরিচালনার জন্য ভাল মানের যথেষ্ঠ পরিমাণে আম্পায়ার আছেন?

এ প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা আমার এখতিয়ার না। মন্তব্য করা কঠিন। তবে আমার মনে হয় আমাদেরও বেশ কিছু ভাল ভাল আম্পায়ার আছেন, তাদের জন্য একটা সুযোগ থাকবে ।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন