চীন সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : ভারতীয় সেনাপ্রধান

 চলমান সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক শুরু হয় শনিবার। এক সপ্তাহের মাথায় ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে জানালেন, দুই দেশের সীমান্তে গোটা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সেনা প্রধান বলছেন, সেনা কমান্ডারদের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পর ভারত ও চীন উভয় পক্ষ বেশ কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে। যেসব বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল তা-ও মিটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার এমন আশ্বাসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।

মে মাসের শুরুতে সীমান্ত বিভাজনকারী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তর সিকিম থেকে পূর্ব লাদাখের মধ্যে একাধিক স্থানে সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে চীনের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এত উত্তপ্ত হয় যে গলওয়ান উপত্যকা, প্যাংগংসহ একাধিক এলাকায় দুই দেশ সেনা সমাবেশের মাধ্যমে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

ভারতের সেনাপ্রধান নরবণে বলেছেন, ‌‘আমি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলছি, চীন লাগোয়া সীমান্ত জুড়ে গোটা পরিস্থিতিই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চালাচ্ছি। দুই পক্ষের কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠক শুরু হয়েছিল এবং স্থানীয় কমান্ডারদের স্তরে তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

পাশাপাশি দেশটির নবনিযুক্ত এই সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের ওই বৈঠকের ফল হিসেবে উভয় পক্ষই অনেক বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে এবং আমরা আশাবাদী, এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের (ভারত ও চীন) মধ্যে সমস্ত মতভেদ মিটে যাবে।’

গত শুক্রবার ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চম দফায় মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়। চীন সীমান্তবর্তী পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে তা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ইতোমধ্যে অবহিত করেছে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ‘আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে বিতর্কের অবসান ঘটানোর বিষয়টিতেই জোর দিচ্ছে নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, চীনা সামরিক বাহিনীর একটি বিপুল অংশ ইতোমধ্যেই সীমান্ত থেকে তিন কিলোমিটার সরে গেছে। সীমান্ত থেকে বেশ কিছু ভারতও সেনা প্রত্যাহার করেছে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন