ইন্টারনেট খরচ বাড়ায় হুমকির মুখে ই-কমার্স

এবাবের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট উপর খরছ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-কমার্সে কেনাকাটায় এবং অনলাইনে ফুড অর্ডার করার ক্ষেত্রে খরচ ধার‌্য করা হয়েছে। এতে করে ই-কর্মাস খাত হুমকিতে ই-কমার্স।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সেক্রেটারি জেনারেল মোহম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল মনে করেন ইন্টারনেট খরচ বাড়লে ইকমার্সের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরবে। সেবার খরচ বাড়বে।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এখন বাসায় বসেই অনলানইনে মানুষ কেনাকাটা করছে। মানুষ ঘরে বসে অফিস করছে। ব্যবসা করছে অনলাইনে।শিক্ষাও দেয়া হচ্ছে অনলাইনে। তাই ইন্টারনেটের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের জনজীবনের স্বাভাবিকভাবে একটা প্রভাব পরবে। যেহেতু মানুষের আয়-ক্ষমতা করোনাকালে কমে গেছে।

ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘এসব কথা বিবেচনায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে সেই বিষয়টামাথায় রাখতে হবে। সবকিছুবিবেচনা করে ইন্টারনেটখরচের দামটা যেন কমে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’

মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে দেওয়া সেবার উপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরফলে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো, ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ছে বলে মনে করেন অপারেটররা।

ইন্টারনেট খরছ কমানো সহ সার্ভিবকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন বরে জানান মোহম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন