দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণের ভয়ে বিশ্ব শেয়ারবাজার নিম্নমুখী

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরুর ভয়ে বিশ্ব শেয়ারবাজারে আবারো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মহামারীতে গেলো ১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে বর্তমানে মোট ঋণ ২৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। জুনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরো ১৫ লাখ মানুষ বেকার হয়েছেন। এদিকে, বিশ্বের জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাত ২০২০ সালে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার লোকসানের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে কয়েকটি গবেষণা সংস্থা।

করোনা সংকটে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব অর্থনীতি। প্রথম ধাপের সংক্রমণের রেশ না কাটলেও দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের আশঙ্কায় সব দেশ। এ শঙ্কায় আবারো নিম্নমুখী শেয়ারবাজার। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকের পতন হয়েছে। সূচক কমেছে জাপান, হংকং, চীন, ইউরোপ আর যুক্তরাজ্যের শেয়ারবাজারের।

মার্কিন অর্থনীতি করোনা ছোবলে এতোটাই বিপর্যস্ত যে, মে মাস পর্যন্ত প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ ২৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এরমধ্যে শুধু মে মাসে দেশটির ঋণ বেড়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের প্রথম প্রথম ৮ মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৭৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের পুরো বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। দেশটির বেকার সংখ্যা মে মাসে ১৫ লাখ বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে বেকারভাতার আবেদন করেছেন ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করায় অনেকেই যোগ দিচ্ছেন কাজে।

গবেষণা সংস্থা ফিচ বলছে, চলতি বছর বিশ্বের জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাতে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার লোকসান হবে। লকডাউনের কারণে এসময়টায় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জ্বালানি খাত। বৃহত্তম জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি লোকসান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সব জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন