করোনায় শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশগুলোর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে আছে যুক্তরাজ্য। মৃত্যু ও আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ চারে অবস্থান করছে তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরকারি হিসেবে যুক্তরাজ্যে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ২ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি।
ফার্গুসন করোনা পরিস্থিতিতেও যুক্তরাজ্য সরকারকে জরুরি সব পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। যাদের বিশেষ পরামর্শে যুক্তরাজ্য লকডাউনে যায়, প্রফেসর নিল ফার্গুসন তাদের অন্যতম প্রধান।
করোনা ও লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে প্রত্যেক ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে করোনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ মাত্রায় সক্রিয় হয়।
ফার্গুসন বলেন, আমরা যদি ২৩ মার্চের এক সপ্তাহ আগে লকডাউন কার্যকর করতাম, তাহলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা অর্ধেকে দাঁড়াতো।
তবে মার্চের শুরুর দিকে করোনা সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি ও এর গতিবিধির ব্যাপারে তেমন স্পষ্ট ধারণা না থাকায় লকডাউনে যেতে ওই বিলম্ব হয় যুক্তরাজ্য সরকারের।
কেবল যুক্তরাজ্য নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই করোনা প্রতিরোধে যথাযথ লকডাউন ও অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে গড়মসি করেছে, অনেক দেশ এখনও একই কাজ করে চলেছে। এতে করে বিশ্বব্যাপীই বিভিন্ন দেশের সরকারের অবহেলায় করোনায় মৃত্যুর আধিক্য দেখা দিয়েছে। আবার অনেক দেশই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই লকদাউন শিথিল করছে, এতেও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।