লিটন ১৬ সৌম্য ৫৯ : জার্সি নম্বরের পেছনে মজার গল্প

  জার্সির পেছনে একটা নম্বর থাকে সব খেলোয়াড়ের। এটা কি কেবলই একটা সংখ্যা? না, এর পেছনে জড়িয়ে থাকে নানা গল্প। বাংলাদেশ দলের দুই তরুণ তুর্কী লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের জার্সি নম্বরের গল্পটা বেশ মজার।

জার্সি নম্বর বাছাই করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ধকল গেছে লিটনের। জাতীয় দলের হার্ডহিটিং এই ওপেনার বারবার জার্সি নম্বর বদলে অবশেষে থিতু হয়েছেন ১৬-তে।

প্রথমে লিটন চেয়েছিলেন ‘০২’ নম্বরটা। সম্প্রতি একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জার্সির গল্প শোনাতে গিয়ে লিটন বলেন, ‘যখন আমি প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি, আমার জার্সি নম্বর ছিল ০২। এর পেছনে একটা কারণ ছিল। কারণটা হলো, যখন আমি ক্রিকেট বলে প্রথম ম্যাচ খেলি, দুই রান করেছিলাম। তাই আমি এটাকেই জার্সি নম্বর হিসেবে পছন্দ করি।’

কিন্তু প্রায় সবারই জানা, বাংলাদেশ দলে ‘০২’ নম্বর জার্সিটা মাশরাফি বিন মর্তুজার। বিপিএলে খেলতে গিয়েও তাই পছন্দের ‘০২’ নম্বর জার্সি পাওয়া হয়নি লিটনের। দুজনই খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে।

পছন্দের নম্বরটি না পেয়ে ‘১৯’ নম্বর নিয়ে নেন লিটন। দিনাজপুরে জন্ম নেয়া এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি তখন মা’কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোনটা নেব। তিনি আমাকে বলেন, আমার যা পছন্দ। তারপর বিপিএলে আমি ১৯ নম্বর নেই।’

তবে এই ‘১৯’ নিয়ে থাকতে পারেননি লিটন। পরে ভাবলেন, জার্সি নম্বর যেহেতু, সেটা একটা উপলক্ষ্যের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলে মনের মতো হবে। লিটনের জন্মদিন ১৬ তারিখ। শেষতক তাই ‘১৬’তেই থিতু হন।

ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পরে সিদ্ধান্ত নেই, যখন আমার জন্মদিন ১৬ তারিখ, জার্সি নম্বরও ১৬ নেব। সেটাই এখন পর্যন্ত আছে। যতদিন ক্রিকেট খেলব, এটাই থাকবে।’

লিটনের মতো অবশ্য জার্সি নম্বর নিয়ে এত ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়নি সৌম্য সরকারের। ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান জার্সির জন্য পছন্দ করেছিলেন বিকেএসপিতে তার তিন ডিজিটের ক্রেডিট নম্বর ৪৫৯। কিন্তু সেটা বড় হয়ে যায় বলে ‘৪’ বাদ দিয়ে শুধু ‘৫৯’ রাখেন সৌম্য।

বাঁহাতি এই হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যান বলেন, ‘বিকেএসপিতে আমার ক্রেডিট নম্বর ছিল ৪৫৯। কিন্তু জার্সিতে তিন ডিজিট রাখা কঠিন। তাই আমি ৪ বাদ দেই। শুধু শেষ দুই ডিজিট রাখি। এজন্যই আমি জার্সি নম্বর ৫৯।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন