কোহলিকে আর স্লেজিং করবেন না অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক

এই মাসদুয়েক আগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক গুরুতর এক অভিযোগ এনেছিলেন নিজ দেশের বর্তমান ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, আইপিএলে খেলার লোভে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে স্লেজিং করেন না অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ক্রিকেটাররা।

তবে কোহলি তথা ভারতীয় দলকে স্লেজিং কমিয়ে করার ব্যাখ্যা তার আগেই ‘দ্য টেস্ট’ নামক ডকুমেন্টারিতে দিয়েছেন বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন। জানিয়েছেন স্লেজিংকে শক্তি হিসেবেই নেন কোহলি, তাই তাকে এই বাড়তি শক্তির উৎস দেয়া যাবে না।

তবু ক্লার্কের রাগের কারণ ছিলো ঘরের মাঠে ২০১৮-১৯ মৌসুমের সেই টেস্ট সিরিজটি হেরে যাওয়া। বদলা নেয়ার সুযোগ চলতি বছরেই পেতে যাচ্ছে অসিরা। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ফের চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে কোহলির দল।

কয়েকদিন আগেও অনিশ্চিত ছিল এ সিরিজের ভাগ্য। তবে ক্রমেই পরিস্থিতি উন্নতির দিকে এগুনোয় উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এ সিরিজ মাঠে গড়ানোর। সিরিজ হোক বা না হোক, কোহলিকে আর স্লেজিং না করার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। তার ব্যাখ্যাও হুবহু পেইনের মতোই।

তিনি বলেছেন, ‘আমি মাঠে যাব এবং নিজের মতো করেই খেলব। আমরা নিশ্চয়ই কাউকে রাগানোর কথা ভেবে খেলতে যাই না। তবে এমন বিষয় (স্লেজিং) যদি আমাদের সামনে এসে পড়ে, তাহলে আমরা প্রতিউত্তর দেই। বিরাট খুবই চালাক এসব বিষয়। সে নিজের স্লেজিং বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দারুণভাবে ব্যবহার করতে পারে। যা পুরো দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা বয়ে আনে।’

ওয়েড আরও যোগ করেন, ‘সত্যি বলতে, আমি চাই না স্লেজিংয়ের মধ্যে পড়তে। আমি জানি, তারা (ভারতীয় দল) দুজন খেলোয়াড়ের মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়টাকে নিজেদের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। আর এ বিষয়ে বর্তমানে পৃথিবীর অন্য যেকোন দলের চেয়ে এগিয়ে ওরা। তাই এ জিনিসটা থেকে এবার নিজেকে দূরে রাখতে হবে।’

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৩ মার্চ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলেছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন ম্যাথু ওয়েডও, দায়িত্ব পালন করেছেন দ্বাদশ খেলোয়াড়ের। তার কাছে এটি এক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সব খেলোয়াড়েরই খানিক সময় লাগবে।

অসি উইকেটরক্ষকের ভাষ্য, ‘এটা আসলে একটা আবহের ব্যাপার। এজবাস্টনে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে ভরা গ্যালারিতে খেলা এবং ওভালে অল্প মানুষের সামনে খেলা কিন্তু পুরোপুরি আলাদা একটা অভিজ্ঞতা। দর্শক থাকলে বাড়তি একটা প্রাণ আসে সত্যিই। তবে ব্যাট-বলের লড়াইটা কিন্তু মাঠে একইরকম আছে।’

‘সিডনিতে আমি খেলিনি, শুধু পানির বোতল নিয়ে দৌড়েছি। তবে মাঠের খেলোয়াড়দের জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি, খালি গ্যালারিতে খেলতে নামা আসলে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা। তবে প্রথম বল হয়ে যাওয়ার পর আবার সব স্বাভাবিক। তখন সবার মনোযোগ খেলায়। কমবেশি সব খেলোয়াড়েরই খালি গ্যালারিতে (ঘরোয়া ক্রিকেট) একশর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন