সারা বিশ্ব যখন তটস্থ ছিল করোনাভাইরাস আতঙ্কে, তখনই ন্যাক্কারজনক এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য পুলিশ। আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুর তলায় পিষে হত্যা করার মাধ্যমে শতবর্ষ ধরে চলে আসা বর্ণবৈষম্যের বিষয়টিকে ফের জাগিয়ে তোলেন পুলিশ সদস্য ডেরেক চাওভিন।
তারপর থেকে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল গোটা যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সারাবিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্দোলনের ব্যাপারে আবার কথা উঠেছে যে, করোনার এ সময়ে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানা হচ্ছে না এমন বিক্ষোভের কারণে। যা কি না বড়সড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিবিসিকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ২৫ বছর বয়সী এ তারকা ফুটবলার বলেছেন, ‘আমার কথা হয়তো অন্যরকম শোনাবে। তবে এখন আমাদের একমাত্র ব্যাধিই হলো বর্ণবৈষম্য, যেটার বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি। আমার মতে, বর্তমান সময়ে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় স্টার্লিং আরও বলেন, ‘এ বিষয়টা (বর্ণবৈষম্য) বছরের পর বছর ধরে চলছে। বর্তমান সময়ের মহামারীর (করোনাভাইরাস) মতো এ বিষয়েও আমাদের একটা সমাধানে পৌঁছান উচিৎ। এসব জিনিস বন্ধ করা উচিৎ।’
এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্টার্লিং বলেন, ‘এখন আন্দোলনকারী এ জিনিসটাই করছে। তারা একটা সমাধান খুঁজছে, যে অন্যায়টা বছরের পর বছর ধরে দেখে আসছে। তাদের রাস্তায় নামার যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণভাবে সব করছে, কারও ক্ষতি না করছে, এ আন্দোলন চলা উচিৎ।’