করোনা কারফিউ ভঙ্গ করে ছয় মাস নিষিদ্ধ ছয় ফুটবলার

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। শুধু উহান নয়, পুরো চীনেই করোনা পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলা যায়। তবু সতর্কতাস্বরুপ এখনই স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরুর অনুমতি মেলেনি দেশের মানুষদের।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাস যেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাই এখনও স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি করোনা কারফিউ বহাল রয়েছে চীনে। কিন্তু এ কারফিউ অমান্য করে মধ্যরাতে মদের পার্টি করতে চলে গিয়েছিলেন ছয় ফুটবলার, তাও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।

এমন কাজ একদমই ভালোভাবে নেয়নি চাইনিজ ফুটবল ফেডারেশন (সিএফএ)। সেই ছয় ফুটবলারের কারফিউ ভঙ্গ করে মদের পার্টি করতে যাওয়ার খবর পেয়ে, সঙ্গে সঙ্গে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে শাস্তি পাওয়া এ ফুটবলারদের নাম প্রকাশ করেনি তারা।

৩৫ জন যুব ফুটবলারকে সাংহাইতে গত ১৭ মে থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু করেছিল সিএফএ। যা শেষ হয়েছে শনিবার। ক্যাম্প শেষেই ছয় ফুটবলারকে নিষিদ্ধ করার খবর জানিয়েছেন ফেডারেশন।

চীনের সংবাদসংস্থা শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির খবর মোতাবেক, সিএফএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দলের পক্ষ থেকে দেয়া মহামারী সময়ের জন্য নির্দেশনা অমান্য করে গুরুতর অপরাধী হয়েছে তারা। যা পুরো দলের মধ্যে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ চেং ইয়াওডং বলেছেন, ‘ওরা সবাই বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্বটা বুঝতে পেরেছে। ছয় খেলোয়াড়কে হারানো অবশ্যই আমাদের দলের জন্য বড় ক্ষতি। তবে এসব খেলোয়াড়দের ভবিষ্যতের জন্য এটি বড় একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।’

ক্যাম্প করা এ অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি আগামী মৌসুমের চাইনিজ তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলবে। যাতে করে পরবর্তী মৌসুমের অলিম্পিকের জন্য নিজেদেরকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে পারে তারা।

শাস্তির কারণে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হবে ছয় ফুটবলারকে। অর্থাৎ গত ৩০ মে থেকে শুরু হয়েছে তাদের শাস্তির মেয়াদ। তবে এখানেই শেষ নয় তাদের শাস্তি। নিজেদের ক্লাব থেকেও বড়সড় শাস্তি পেতে হতে পারে তাদের।

এদিকে চীনের ফুটবলারদের কোন ঐক্যবদ্ধ সংগঠন নেই যারা কি না খেলোয়াড়দের ভালো-মন্দ বিষয় দেখাশোনা করে থাকে। ফলে এ ছয় ফুটবলার নিজেদের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবে কি না, এটিও অনিশ্চিত।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন