বস্তির অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিলেন যুবলীগ নেতা জেডএম সম্রাট

কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জেড এম সম্রাট করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করোনা যোদ্ধা হিসাবে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে চলেছেন। সম্রাট নিজের পরিবার ও জীবনের কথা চিন্তা না করে তার জেড এম গ্রুপের সাথে প্রতিনিয়ত করোনার শুরু থেকে মাস্ক বিতরণ, লিফলেট বিতরণ, এলাকায় স্প্রে করা, পিপিই বিতরণ সহ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করে চলেছেন।

দিন যত যাচ্ছে মানুষ যেনো বড়ই অভাবী হয়ে পড়ছে, অনাহারে দিন পার করছে। এমনি সময়ে জেড এম সম্রাট নিজ উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রি, কাচা তরকারি বিতরণ করেন। পবিত্র মাহে রমজানে অসহায় মানুষের সেহরিতে কোন রকম ভাত জুটলেও ইফতারি করেন শুধু পানি দিয়ে।

সম্রাট জানতে পারে সমাজের তৃণমূল মানুষ না খেয়ে অনাহারে দিন পার করছে, তাৎক্ষণিক জেড এম গ্রুপকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিয়ত রান্না করা খাবার বিতরণ করছে।

কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রি বিতরণের উদ্ধোধন করেন। পরে হানিফ এমপি সকলকে আহব্বান করেন যাদের স্বামর্থ রয়েছে তারা যেনো এগিয়ে আসে। এছাড়াও হানিফ এমপি তার ছোট ভাই কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাকে কঠোর ভাবে নির্দেশনা দেন, কুষ্টিয়ার কোন মানুষ যেনো না খেয়ে না থাকে। সে লক্ষ্যে জননেতা আতাউর রহমান আতা প্রতিনিয়ত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে ছুটে চলেছেন।

জেড এম সম্রাট এর উদ্যোগে বুধবার বিকেলে রান্না করা খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন,সায়াদ রাইচ এজেন্সির ম্যানেজার দ্বীন ইসলাম(রাসেল),কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম লিংকন,বেঙ্গল কম্পিউটারের কর্নধার বকুল হোসেন,জাহিদ এগ্রোফুডের কর্নধার জাহিদ হাসান। এছাড়াও আরো ছিলেন সনেট,আতাই,নবাব,নেওয়াজ,লিসান,শরীফ  প্রমূখ।

শহর যুবলীগের এই নেতা জেড এম সম্রাট  বলেন, জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির আহব্বানে জননেতা আতাউর রহমান আতা ভাই কাজ করে চলেছেন, দিন রাত পরিশ্রম করছেন। আমি আওয়ামী সংগঠনের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে আতা ভাইয়ের নির্দেশে আমার সাধ্যমত তাদের সেবা করছি। তিনি আরো বলেন, আমি নেতা বা কোন কাউন্সিলার হতে এসব করছি না, আতা ভাইয়ের নির্দেশ মোতাবেক আমার স্বামর্থ অনুযায়ী অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে দেখতে পারি নাই, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে। আমি মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ও জননেতা আতাউর রহমান আতা ভাইয়ের সততা আদর্শে কাজ করার চেষ্টা করছি। পরে সকলকে সরকারি নিয়ম মেনে চলা ও ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরার পরে, সরকার কোভিট-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নানা কর্মসূচি পালন করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ ঘোষণা (লকডাউন) করেন। এতে দেশের অধিকাংশ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষকে পড়তে হয় বিপাকে। কর্মজীবী মানুষ হয়ে পড়ে কর্মহীন। মহামারী সময়ে দেশের প্রতিটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহব্বানে তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়, এখনো চলমান রয়েছে।

বার্তা প্রেরক :
সাইফুল আলম খান জোয়ার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

 

 

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন